ঈশ্বরদীতে কনকনে শীত, তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি

ঈশ্বরদীতে কনকনে শীত, তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি

দেশ জুড়ে রংপুর

উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত ঈশ্বরদীর জনজীবন। রোববার (২১ জানুয়ারি) উপজেলায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা এ মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল ৯টার দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

একদিন পরেই তা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। উপজেলা জুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত ঈশ্বরদীর স্টেশন রোড, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ পাউরুটি বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ভোর ৫টায় কনকনে শীতে স্টেশনে এসেছি। শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে।চা স্টলের স্বত্বাধিকারী আওলাদ হোসেন বলেন, সারারাত স্টেশনে ছিলাম।

হিমেল বাতাসে নাক দিয়ে পানি ঝরছে।এদিকে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত চার হাজার শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় কম। মাত্র চার হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে তিন হাজার ২০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর বাকি কম্বল উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিতরণ করা হয়েছে।