শীতের পোশাক আলমারিতে তুলে রাখার আগে সতর্ক থাকবেন যেসব ‍বিষয়ে

শীতের পোশাক আলমারিতে তুলে রাখার আগে সতর্ক থাকবেন যেসব ‍বিষয়ে

স্বাস্থ

একটু ভুলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে সাধের জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার
প্রকৃতিতে ঘটেছে বসন্তের আগমন। আর বসন্তের আগমনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে শীতের বিদায় নেওয়ার পালা। পাশাপাশি শুরু হয়েছে শীতের পোশাকেরও বিদায় নেওয়ার পালা। তবে শীতের পোশাক বা লেপ-কম্বল গুছিয়ে রাখা কাজটি একেবারে সহজ নয়।

অন্যদিকে, বছরের বেশিরভাগ সময়ই এই পোশাকগুলো বাক্সবন্দি থাকে। তাই, এসব পোশাক তুলে রাখার ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। একটুখানি অযত্নে শীতবস্ত্র খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু টোটকা, যা ভালো রাখবে আপনার পছন্দের সোয়েটার, জ্যাকেট।না ধুয়ে শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার কথা ভুলেও মাথায় আনবেন না। ময়লা বা শরীর থেকে নির্গত তৈলাক্ত পদার্থ অনেক সময় খালি চোখে দেখা যায় না। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদে শীতবস্ত্রের ক্ষতি করে। পাশাপাশি এগুলো পোকামাকড় ও ছত্রাক ডেকে আনে। ধুতে না পারলে নিদেনপক্ষে ড্রাই ওয়াশ করে নিন।রম জামার সঙ্গে অন্য কোনো পোশাক ধুবেন না।

 

অনেকেই একসঙ্গে সব পোশাক ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। এমনটা না করাই ভালো। এতে সময় বাঁচলেও গরম পোশাকের আয়ু কমে যাবে।শীতের পোশাক রোদে দেওয়ার আগে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। পানিসহ রোদে মেলে দিলে শুকোতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ রোদে রাখলে গরম পোশাকের আয়ুও অনেক কমে যায়।আলমারিতে তোলার সময় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে দিতে পারেন। এতে কটু গন্ধ হবে না। এছাড়া, আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় শীতবস্ত্র রাখবেন না। এক একটি বস্ত্রের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন। আর্দ্রতাই শীতবস্ত্রের মূল শত্রু। মাঝে টিস্যু পেপার থাকলে তা অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে।শীতের পোশাক ভাঁজ করে রাখাই ভালো।

ঝুলিয়ে রাখলে উল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো সোয়েটার জমা করে রাখবেন না। আলাদা আলাদা বায়ুশূন্য ব্যাগে ভরে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এতে আর্দ্রতা ও ধুলোবালি কিছুই ঢুকতে পারবে না। আলাদা ভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন। তবে যেভাবেই রাখুন না কেন, মাঝেমধ্যে বের করে রোদে দিতে হবে।