টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধর্মীয় অনুশাসন অবজ্ঞা করে ক’বর স্থানের পাশে ডেকসেট বাজানো নিষেধ করায় মা’দক সেবীদের হাম’লায় ২ জন আহ’ত। ঈদের দিন শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের পচাশারুটিয়া গ্রামের একদল উশৃংখল যুবক চৌবাড়িয়া কব’র স্থানের পাশে ডেকসেট বাজায়।
এলাকার গন্যম্যান্য ব্যাক্তিবর্গ নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরি জের ধরে রোববার বেলা ১২টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মহাসিন ও রাকিবুল কে রাস্তায় পেয়ে আল মামুন (২০) ও আমিনুল (৪৫) দলবল নিয়ে তাদের উপর হাম’লা করে। এ ঘটনায় মহাসিনের পিতা মো. আ’ইয়ুব আলী বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায় করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলমামুন, আমিনুল, শহিদুল, কাউছার, দেলুয়ার, জুয়েল ও সোহেল গংরা ঈদের দিন বিকেলের দিকে ক’বর স্থানের পাশে ডেকসেট বাজিয়ে মা’দক সেবন করতে থাকে। কব’র স্থানে ডেকসেট বাজানোয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘা’ত লাগায়
এলাকার মাতাব্বরগণ তাদের নিষেধ করলে মা’দক সেবীরা এলাকা বাসির উপর চড়াও হয়। সেই সাথে মাতাব্বরদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও দেখে নেয়ার হু’মকি দেয়। পরে ১৬ তারিখ রোববার পচাশারুটিয়া বাজারের সামনে পাকা রাস্তায় মহসিন ও রাকিবুল কে পরিবল্পিত ভাবে মা’দক সেবী আল আমিন ও কাউছার গংদয় রড দিয়ে বেধম মারপিট করে।
এতে মহসিন ও রাকিবুল গুরুতর ভাবে আহত হয়। র’ক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্বার করে নাগরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাকিবুলের মাথার আঘা’ত গুরত্বর হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মহসিনের পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে গা ডাকা দিয়েছে উল্লেখিত ‘মাদক সেবীরা।
এলাকার উল্লেখযোগ্য একাধীক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, আসা’মীগণরা এলাকার সিকদার পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে পরিচিত।
এ বাহিনী মা’দ’ক সেবন সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে। প্রতিবাদ করলে তারা রাতের আধারে এমনি কি জনসম্মুখেও লাঠি সোটা নিয়ে হাম’লা করে। নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য ইতি পূর্বে কয়েক জন মাতাব্বর কে মারধর করেছে বলেও এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, পচাশারুটিয়া গ্রামের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আ’ই’নগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।