খুলনায় ২ লাখ ৯২ হাজার শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

খুলনা নারী ও শিশু

খুলনা: আগামী ৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে খুলনা মহানগরী ও জেলার নয়টি উপজেলার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৯২ হাজার ২শ ৪১ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ক্যাম্পেইনে অভিভাবকদের শিশুর জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব ও শিশুর ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিমান মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতন করা হবে।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় খুলনা নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে জেলার সাংবাদিকদের জন্য সিভিল সার্জন দপ্তরের আয়োজনে এক ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। সভাপতির বক্তৃতায় সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল রাতকানাসহ শিশুর অনেক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি শিশুর শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন চলাকালে জেলার নয়টি উপজেলার এক হাজার ছয়শ ৪১টি টিকাদান কেন্দ্রে ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকায় এ ক্যাম্পেইনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সর্তকতা অনুসরণ করা হবে।

ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো। এই ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং

এটি খাওয়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। ভ্রমণে থাকাকালীন রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে, ছয় মাসের কম অথবা পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু,

চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশু এবং মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক জয়ন্ত নাথ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এসএম কামাল হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শারাফাত হোসাইন।

খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহাবুব আলম সোহাগ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় খুলনায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ৭০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।