স্বামীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী

ঢাকা দেশ জুড়ে নারী ও শিশু

স্বামী আবু জাফর মোল্লাকে স্ত্রী সকিনা আক্তার সেলিনা ও তার ভাই জাফর খান মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আবু জাফরকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

শুক্রবার সকালে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের রাজ্জাক খানের মেয়ে দুই সন্তানের জননী সকিনা আক্তার সেলিনাকে গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামের তাজেম আলী মোল্লার ছেলে আবু জাফর মোল্লা ঢাকায় বসে ২০১৫ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সকিনা বেগম স্বামীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন- এমন দাবি স্বামী আবু জাফর মোল্লার।

 

গত শনিবার সকিনা ঢাকার বাসা থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসে সকিনা। স্ত্রীর খোঁজে স্বামী আবু জাফর মঙ্গলবার তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। কিন্তু স্বামী আসার খবর পেয়ে স্ত্রী সকিনা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে চাওড়া ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

 

শুক্রবার সকালে ওই বাঁশতলা গ্রামে স্ত্রীকে খুঁজতে আসেন স্বামী জাফর মোল্লা। ওই গ্রামে স্ত্রীকে খুঁজে পান স্বামী জাফর মোল্লা। এ সময় ঢাকা থেকে পালিয়ে আসার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় স্ত্রী সকিনা আক্তার, ভাই জাফর খান ও তার জামাতা সুমন তাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থেঁতলে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

আহত স্বামী আবু জাফর মোল্লা বলেন, স্ত্রী সকিনা আক্তার সেলিনা আমার ঢাকার বাসা থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও বাসার সমুদয় আসবাবপত্র চুরি করে বাবার বাড়ি পালিয়ে আসে। আমি তাকে খুঁজতে তার বাবার বাড়িতে গেলে সে অন্যত্র পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে আমার স্ত্রীর খোঁজে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে আমার স্ত্রী সকিনা, তার ভাই জাফর খান ও আগের ঘরের মেয়ের জামাতা সুমন ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

 

স্ত্রী সকিনা আক্তার সেলিনা মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বাসা থেকে কিছুই চুরি করে নিয়ে আসিনি। শুধু শুধু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত আবু জাফর মোল্লার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।