দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেট চালু করলো বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক প্রবাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। যদিও সে সময় ই-গেট স্থাপন করা হলেও করোনা মহামারি এবং সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বুধবার বিকালে (৩০ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-পাসপোর্টের জন্য চালু হলো ই-গেট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এর উদ্বোধন করেন।

 

 

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেট চালু করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি) এবং জার্মানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ

 

 

 

সংস্থা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই সংস্থাটির মাধ্যমেই ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় ই-পাসপোর্টধারীদের শনাক্ত করবে ই-গেট। ই-পাসপোর্টে মাইক্রোপ্রসেসর

 

 

 

চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো রয়েছে। একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পাসপোর্টের মুদ্রিত ও চিপে সংরক্ষিত থাকে। ই- গেটে পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর গেটের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরা যাত্রীকে শনাক্ত করবে। যা এতদিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতো ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

 

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আন্তর্জাতিক মানের পাসপোর্ট চালু করেছি। আমাদের প্রতিদিন ২০ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট করার সক্ষমতা আছে, করোনার কারণে ৮-৯ হাজার প্রিন্ট হচ্ছে। আমরা শুধু বিশ্বমানের পাসপোর্ট তৈরি করিনি, সবকিছু সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন বলেন, উন্নত সেবা দিতেই ই-গেট স্থাপন করা হলো। এখানে একটি অংশ হচ্ছে ই-পাসপোর্ট আরেকটি হলো ই-গেট। বিশ্বের অনেক দেশ এখনও ই-পাসপোর্ট সেবা পরিপূর্ণভাবে চালু করতে পারেনি, আমরা সেটি সক্ষম হয়েছি।

 

 

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমরা বিমানবন্দরে আধুনিক সেবা দিতে সচেষ্ট। ই-গেটে চালুর ফলে যাত্রীরা আরও বেশি আধুনিক পদ্ধতিতে ও দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

 

 

অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী, ই- পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বেবিচকের সদস্য

 

 

(পরিচালনা ও পরিকল্পনা) মো. খালিদ হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হলেন মনিরুল ইসলাম, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়