দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের দশম দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ১৪৫ জনকে প্রায় এক লাখ টাকা জ’রিমা’না করেছে র্যাব। সারাদেশে ২৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
শনিবার (১০ জুলাই) রাতে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লকডাউনের দশম দিনে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ কার্যকর ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সারাদেশব্যাপী মাঠে ছিল র্যাব। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট।
তিনি আরও বলেন, শনিবার বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সারাদেশব্যাপী র্যাবের ১৯১টি টহল ও ১৯৭টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এএসপি ইমরান খান বলেন, র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। বিধিনিষেধ অমান্য করায় সারাদেশব্যাপী পরিচালিত ২৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪৫ জনকে এক লাখ ৬ হাজার ২০০ টাকা জ’রি’মা’না করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে বিনামূল্যে প্রায় আড়াই হাজার মাস্ক ও অসহায়-দুস্থ ৯০টি পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।
