প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি বাবা-মা’কে উৎসর্গ সাদমানের

খেলাধুলা

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, একজন ক্রিকেটারের জন্য এর চেয়ে স্বপ্নময় দিন আর হতে পারে না। অষ্টম টেস্টে এসে সেই স্বপ্নের দেখা পেলেন সাদমান ইসলাম।

 

 

ঢাকায় জন্ম নেয়া ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ আবেগাপ্লুত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি উৎসর্গ করলেন পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন-মা ও বাবাকে। সেইসঙ্গে সতীর্থ, কোচদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

 

 

২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। অভিষেকের পর থেকেই জানান দিচ্ছেন, টেস্ট খেলার জন্যই যেন তার জন্ম। এই ফরমেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের টেম্পারমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন অনেকদিনের। সাদমান এই জায়গাটায় একদম আলাদা।

 

 

দেখেশুনে খেলে বরাবরই ইনিংস বড় করার ইচ্ছে থাকে সাদমানের। তাই এখন পর্যন্ত ১৫ টেস্ট ইনিংসে দশের নিচে আউট হয়েছেন মাত্র পাঁচবার। বাকি দশবারই তিনি বিশের ওপরে রান করেছেন।

আজ (রোববার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটাতেও বরাবরের মতো দেখেশুনে শুরু করেন। প্রথমে ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান, পরে নাজমুল হাসান শান্তর সঙ্গে জুটি গড়েন সাদমান।

 

 

হারারে টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে সাইফকে নিয়ে ১৭ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিলেন। আজ তো সাদমানকে আউটই করতে পারলেন না জিম্বাবুয়ের বোলাররা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ইনিংসেই অপরাজিত থাকলেন ১১৫ করে।

 

 

 

দিনশেষে নিজের এই ইনিংস নিয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘সাইফের সাথে কালও এক ঘণ্টা ব্যাটিং করেছি। আজ সকালেও ভালো ব্যাটিং করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সাইফ আউট হয়ে গেছে। শান্তর সাথে ব্যাটিং করার সময় ও বলল যেভাবে চলছে এভাবেই খেলতে থাকি। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে শান্ত বলল-যেটা মারার সেই বলে সুযোগ নিব আর স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে থাকলে ভালো সংগ্রহ দাঁড়াবে।’

 

 

 

সাদমান যোগ করেন, ‘আশা করি আমরা যে সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছি, ইনশাআল্লাহ খুব ভালো অবস্থায় আছি। আগামীকাল এরকম টাইট বোলিং করলে দ্রুত ম্যাচ জিতব ইনশাআল্লাহ।’

 

 

সেঞ্চুরি নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কাল এক ঘণ্টা ব্যাট করে অপরাজিত ছিলাম। তবে আজ সকালে পরিকল্পনা করি বল বাই বল ব্যাটিং করার। আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া আজকে সেঞ্চুরির দেখা পেলাম। ভালো লাগছে, দলেরও উপকার হয়েছে, বড় সংগ্রহ এনে দিতে পেরেছি। এই শতকের জন্য আমার সতীর্থ ও কোচদের অনেক সমর্থন ছিল। এই শতক আমার আব্বু-আম্মুকে উৎসর্গ করছি।’