গাবতলী হাটে উঠবে ৪০ মণের ‘টাঙ্গাইলের বস’

জাতীয় দেশ জুড়ে বাংলাদেশ বিশেষ প্রতিবেদন

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির হাট কাঁপাতে ‘টাঙ্গাইলের বস’ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। ন্যায্যমূল্য পেতে তাকে ঢাকার গাবতলী, বাইপাইল ও কমলাপুর হাটে তোলা হবে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইসলামের গোয়ালে জন্ম নেয়া ‘টাঙ্গাইলের বস’ নামের ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৪০ মণ। কুচকুঁচে কালো রঙের ‘বস’ লম্বায় প্রায় ৯ ফুট।

 

 

৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ষাঁড়টির বুকের (সিনার) ঘের প্রায় ৭ ফুট। ষাঁড়টির মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘টাঙ্গাইলের বস’ নামের ষাড়টি তার গোয়ালে সাড়ে চার বছর আগে জন্ম নেয়। এর মা (গাভি) আগে আরও তিনটি ষাঁড়ের জন্ম দিয়েছে।

সেগুলোও কোরবানির ঈদে বিক্রি করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। গাভিটি আবার গর্ভবতী হয়েছে। ব্রাহমা শংকর জাতের ষাঁড় ‘টাঙ্গাইলের বস’র জন্য তিনি দাম হাঁকাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। হাটে তুললে বাজার অনুযায়ী দামেই ষাঁড়টি বিক্রি করবেন তিনি। তবে ১০ লাখের নিচে বিক্রি করবেন না বলে জানালেন।

 

 

শফিকুল ইসলাম আরও জানান, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ষাঁড়টির ছবি ও বিবরণ নিয়ে অনলাইনে আপলোড করলেও তার পরিচয় সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিদিনই স্থানীয় লোকজন ষাঁড়টি দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করলেও এখন পর্যন্ত কেউই কিনতে আসেননি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ষাঁড়টিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী রোববার (১৮ জুলাই) ষাঁড়টিকে ঢাকার গাবতলী হাটে তুলবেন শফিকুল ইসলাম।

 

 

কৃষক শফিকুল ইসলামের খামারে এখনো ১৩টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে ‘টাঙ্গাইলের বস’সহ চারটি ষাঁড়, দুটি বকনা বাছুর, একটি ষাঁড় বাছুর এবং ছয়টি গাভি রয়েছে।

‘বস’র খাবার তালিকায় রয়েছে খড়, ভুষি, পেয়ারা, ছোলা, তরল গুড়। তাকে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। থাকার ঘরে ফ্যান লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ‘বস’র যত্নের কোনো ত্রুটি করেন না শফিকুল।

ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) জামিল মোহাম্মদ তফিজ বলেন, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক। পৈত্রিক জমি চাষ করে তার সংসার চলে।

 

 

পারিবারিকভাবেই তারা গরু লালন-পালন করে থাকেন। তার গোয়ালের ‘টাঙ্গাইলের বস’ নামের ষাঁড়টি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করছেন। ষাঁড়টি যথোপযুক্ত দাম পেলে এলাকায়ই বিক্রির কথা রয়েছে।

ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাদেক আলী বলেন, কৃষক মো. শফিকুল ইসলামের গোয়ালে এতোবড় ষাঁড় গরু হয়েছে তা তিনি জানতেন না। জানতে পেরে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসকে বিষয়টি জানান। পরে তারা ষাঁড়টি দেখে ছবি তুলে অনলাইনে আপলোড দিয়েছেন।

 

সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ইউনিয়নে ‘টাঙ্গাইলের বস’ নামের ষাঁড়টিই বড়। দেশীয় খাবারে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে।