সঠিক ব্রা খুঁজে নিতে বিশেষজ্ঞদের টিপস

সঠিক ব্রা খুঁজে নিতে বিশেষজ্ঞদের টিপস

নারী ও শিশু রকমারী

নারীস্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি হয়ে উঠতে পারে ব্রেসিয়ার, যদি ভুল মাপেরটি পরা হয়। অথচ স্বাস্থ্যের অবস্থা সব সময় একরকম থাকে না। এটা বদলায় এবং তার সঙ্গে ব্রায়ের আকার বদলানো হয়ে ওঠে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যের পরিবর্তন বোঝা না গেলেও প্রতিবছর নতুন সাইজের ব্রা কেনা উচিত। এখানে জেনে নিন, কিভাবে দেহের জন্যে সঠিক মাপের ব্রা খুঁজে নেবেন।

 

ডিজাইনার নাচকেত বার্ভে জানান, সব সময় ফিট ব্রা পরা উচিত। কিন্তু ওজন ও দেহের আকার নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। দেহের সঙ্গে ফিট ব্রা খুঁজে পেতে কয়েক বছরও লেগে যায়।

সঠিক মাপ খুঁজে পেতে কয়েকটি মৌলিক নিয়ম জেনে নেওয়ার প্রয়োজন। ক্লিভেজ দৃশ্যমান না রাখতে চাইলে এমন ব্রা প্রয়োজন যা স্তনযুগলকে পৃথকভাবে ধরে রাখে এবং এর ওজন হ্রাস করে। অনেকের মতে, ব্রা ফিটিংয়ের বিষয়টি যতটা না বৈজ্ঞানিক, তার চেয়ে বেশি শৈল্পিক। এখানে কিছু মৌলিক নিয়ম জেনে নিন।

 

 

১. দেহের জন্যে কোনটি সঠিক মাপের হবে তা জেনে নিতে একটি মেজারমেন্ট টেপ নিন। পিঠের পেছন থেকে ধরে টেপনি সামনের দিকে নিয়ে আসুন। যে মাপটি পাবেন তা বাড়তি মনে হলে সবচেয়ে কাছের পূর্ণ সংখ্যার মাপটি গ্রহণ করুন। এবার স্তনের ঠিক নিচেই পাঁজরের মাপ নিন। একইভাবে কাছের পূর্নাঙ্গ সংখ্যাটি গ্রহণ করুন।

 

 

২. ব্রায়ের কাপে স্তন পরিপূর্ণভাবে সেঁটে যাবে। ঢিলেঢালা বা বেশি আঁটোসাঁটো হবে না। এই মাপটি নিতে স্তনের সর্বোচ্চ স্ফীত অংশের মাপ নিন। যে মাপটি পাবেন তা থেকে এক একক মাপ কম নিন। যদি কাপ সাইজ পান ৩৬ ইঞ্চি এবং ব্যান্ড সাইজ পান ৩৪ ইঞ্চি, তাহলে পার্থক্য হলো ২ ইঞ্চি। এই পার্থক্য ‘বি’ কাপ নির্দেশ করে।

 

৩. ব্রায়ের হুক লাগানোর পর পেছন দিকটা ওপরের দিকে টানটান অবস্থায় থাকবে না। এ ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় সেট হুকে লাগিয়ে দেখুন, কোনটি স্বস্তিদায়ক হয়। মনে রাখবেন, ব্রা আপনার সামনের অংশকে সাপোর্ট দেবে, কিন্তু পেছনের অংশ নয়। ব্রায়ের কাপের পাশ থেকে টিস্যুর কিছু অংশ বেরিয়ে পড়লে বুঝে নেবেন, এর সাইজ কিছুটা ছোট হয়ে গেছে। ব্রায়ের দুটি কাপের সংযোগস্থলটি বুকের সঙ্গে টানটান হয়ে সেঁটে থাকবে। তবে স্তনের কোনো অংশ সামান্যতম কুঁচকে থাকলে কিছুটা ঢিল দেওয়া প্রয়োজন।

 

 

৪. বক্ষবন্ধনী সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই ভাবেন, ডি সাইজ কাপটি গড় মাপের। আসলে তা নয়। সব সাইজের ডি মাপ আছে। যদি দুই হাতের নিচের নিকে ত্বক ব্রায়ের বন্ধনীতে কুঁচকে থাকে, তবে আরেকটু বড় মাপের ব্রেসিয়ার লাগবে।

 

৫. এমন দোকান থেকে ব্রেসিয়ার কিনতে যাবেন না যেখানে বিভিন্ন ধরনের সরবরাহ কম। ছোট সাইজ যেমন ২৮ বা ৩০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে বড় সাইজের সব ধরনের ব্রেসিয়ার এমন দোকানে কিনতে যাবেন।

 

৬. বর্তমানে যে সাইজের ব্রা ব্যবহার করছেন সেই সাইজটি যদি গত এক বছর ধরে ব্যবহার করতে থাকেন এবং বর্তমানে মাপের ফিতায় একই মাপ আসে, বুঝবেন কোথাও ভুল হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে এই মাপ বদলাতে বাধ্য।

 

 

৭. যদি সঠিক সাইজ না খুঁজে পান, তবে কাজ চালানোর জন্যে হলেও ভুল সাইজটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য কোনো শপে গিয়ে খুঁজুন। ভুল সাইজের ব্রেসিয়ার স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক হুমকি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস