অকারণে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছে: ডা. জাফরুল্লাহ

অকারণে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছে: ডা. জাফরুল্লাহ

রাজনীতি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অকারণে যদি আজ বঙ্গবন্ধুকে সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর জন্য টানাটানি করা হয়, সেটা খুবই জঘন্য কাজ হবে। একইভাবে ভুল কাজ হচ্ছে, জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত করে অকারণে মিথ্যাচার করা। এটাকে অ্যাটেনশান ডাইভারশন বলে।

 

শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

নাগরিক সমাজের ব্যানারে অবিলম্বে সবার জন্য টিকা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ও জনজীবন সচল রাখার ৩ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রহিম, জেএসডি’র কার্যকারী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক সভিপি নূরল হক নূর, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক। সভা পরিচালনা করেন সাগরকি ঐক্যের ডা. জাহিদুর রহমান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

 

ডা. জাফরুল্লাহ অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা বাহিনী অন্যদিকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরীমনি আবিষ্কার করেছে, তারা সম্রাট আবিষ্কার করেছে। করোনার টিকা দিতে না পারেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসা করুন। মশারী দিন। প্যারাসিটামল দিন। ডেঙ্গুর চিকিৎসা করতে বেশি কিছু লাগবে না।

 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ লোক নিয়ে গেছে। বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। একমাস লকডাউন ছিল করোনা কমেনি। এখনও করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। লকডাউন খুলে দেওয়ায় মানুষ কাজ করে খেতে পারবে, তবু স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভাবেন না।

 

জোনায়েদ সাকী বলেন, দেশে মানুষ মরছে, দুর্নীতি হচ্ছে; এসব সংকটের দিকে যাতে মানুষের দৃষ্টি না যায়, তাই পরীমণি নিয়ে এই ব্যস্ততা।

 

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বন্ধ। এ নিয়ে সরকারে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে একেক সময় একেক তারিখ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ দিতে পারে নাই। আমরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা চাই।