অ্যাভিয়েশন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

অ্যাভিয়েশন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন

ছোটবেলায় খেলনা উড়োজাহাজ বানিয়ে সারাদিন তা নিয়ে সময় কাটিয়েছেন রায়হান। বড় হয়েও যেনো অ্যাভিয়েশন সেক্টরে সম্পৃক্ত হতে পারেন এমনই স্বপ্ন ছিল তার। এজন্য এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ পাঁচ পেয়ে কলেজ অব অ্যাভিয়েশন টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভর্তি হন।

 

 

বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান কোম্পানি প্লেইনফিল্ডে ইন্ডিয়ানা বিমানবন্দরে এয়ারক্রাফট অ্যাসোসিয়েট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমান অবস্থানের পিছনে কলেজ অব অ্যাভিয়েশন টেকনোলজির ভূমিকা নিয়ে রায়হান বলেন, ‘এই এভিয়েশন কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ ও গুণগতমান অসাধারণ। আমি এই কলেজে বিভিন্ন এয়ারক্রাফট সম্পর্কে হাতেকলমে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’

 

 

বিএসসি অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত চার বছরের অনার্স কোর্স যেখানে আট সেমিস্টার পড়াশোনা করে আপনি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, এভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ারলাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ারপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ারপোর্ট ডিজাইন

 

অ্যান্ড প্ল্যানিং, স্যাটেলাইট, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোকেট্রি, রাডার সিস্টেমস, রিমোট কন্ট্রোল সেন্সিং সিস্টেমস, হিউম্যান মেকানিক্স, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমস, এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স ম্যানেজমেন্ট,

 

 

এয়ারক্রাফট ডিজাইন, রেডিও ইলেকট্রিকাল সিস্টেমস, থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংসহ স্যাটেলাইট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিসিএস, সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।

 

 

এক্ষেত্রে কলেজ অব অ্যাভিয়েশন টেকনলোজি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।সিলেট থেকে পড়তে আসা মাহফুজের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মনে স্বপ্ন ছিল এয়ারলাইন্সে কাজ করার। তাই এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে বর্তমানে আমেরিকায় অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছি।

 

মিরপুরের শাহেদ বলেন, এখানে ভর্তি হয়ে সব প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে শেষ করে বিশ্বখ্যাত জার্মান বিমান রক্ষণাবেক্ষণ কোম্পানি হাইটেক এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স জিএমবিএইচ-এ চার লাখ টাকা বেতনে ফ্রাংকফুর্ট হান বিমানবন্দরে কাজ করছি।

 

 

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করে রায়হানের মতো অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানির বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি করছেন। বর্তমানে অ্যাভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ লোকের অভাব। তাই ক্যারিয়ার গড়ার এটাই আদর্শ সময়।