ষষ্ঠ শ্রেণির সেই সুমাইয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেলো ইউনিফর্ম

জাতীয় দেশ জুড়ে

স্কুল খোলার প্রথম দিন ইউনিফর্ম পরে না আসায় প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউনিফর্ম ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।

মঙ্গলবার রাত ১০টায় পৌর শহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণার বাড়িতে যান দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণা পৌর শহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী মো. শাহিনুর ইসলামের মেয়ে।

এ সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দীন, ফুলবাড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আক্তার জাহান উপস্থিত ছিলেন।

ফুলবাড়ি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামীতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণার বাড়িতে গিয়ে তার স্কুলে পরার জন্য ইউনিফর্ম ও থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।

জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, সকালে স্কুল থেকে ইউনিফর্ম না থাকার কারণে শিশু শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক বের করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত শিশু সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাকে নতুন ইউনিফর্ম ও আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই এক দিনের মধ্যে সহযোগিতা করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাজ আমরা পুরো শিক্ষা পরিবার লজ্জিত ও মর্মাহত। এমন ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষককে আগামীকাল শোকজ করা হবে। এছাড়াও আগামীকাল (বুধবার) এ বিষয়ে জেলার সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।