ক্যাসিনোকাণ্ড: এনু-রুপনসহ ১১ জনের রায় পেছালো

আইন-আদালত বাংলাদেশ

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানার মানিলন্ডারিং আইনের করা একটি মামলায় রায় পেছালো। আগামী ২৫ এপ্রিল রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৬ এপ্রিল) রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ১৬ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের ঘোষণার জন্য জন্য আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে।

আওয়ামী লীগ নেতা এনু ও রুপনসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ তারা কালামের বাসায় রেখেছিল। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।

গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেন।