মা-বাবা হাসপাতালে, বাড়িতে মেয়েকে ধর্ষণ

বাংলাদেশ

পাবনার সুজানগর উপজেলার মহনপুর গ্রাম। ওই গ্রামের এক নারীর (৪৫) স্বামী কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি ডায়ালিসিস করতে স্বামীকে নিয়ে তিনি গত ২৮ মার্চ গিয়েছিলেন ঢাকায়। বাড়িতে রেখে যান ছোট মেয়েকে (১৪)।

ঢাকা থেকে গত সোমবার বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভ্যানচালক স্বামী অসুস্থতার কারণে আয় রোজগার করতে পারেন না। চিকিৎসার অর্থ জোগাতেই ওই নারীর ত্রাহি অবস্থা। এর মধ্যে মেয়ের এই খবরে তিনি দিশাহারা।

জানা যায়, ওই নারী স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পর ওই দিন রাতে খাবার খেয়ে মেয়েটি চাচাতো বোনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের পাশের টয়লেটে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা দুই ধর্ষক মো. জিয়া সরদার ও মো. ওয়াজেদ আলী শেখ মেয়েটির মুখে গামচা চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোর করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষক জিয়া সরদার পাশের নওয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে, আর ধর্ষক ওয়াজেদ আলী মহনপুর গ্রামের আমদ আলী সেখের ছেলে।

অসহায় ওই নারী শেষে গত সোমবার রাতে দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।

সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটির মা সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় থানায় এসে অভিযোগ জানালে দ্রুততম সময়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।