মেয়াদ শেষ করতে না পারলেও যে ইতিহাস গড়ে গেলেন ইমরান খান

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটেই বিদায় নিতে হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এদিকে বাংলাদেশ সময় শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশনে ওই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে জাতীয় পরিষদের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোট দেন। তবে মুখ থুবড়ে পড়লেও লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন সাবেক পাক-প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধীদের অনাস্থা ঠেকাতে সবরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ইমরান খান। গত ৩ এপ্রিল আস্থা ভোটের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে দেন তিনি। রাতারাতি সে দেশের জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে করেন এবং নতুন ভাবে ভোটের জন্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন ইমরান। কিন্তু পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটের মুখোমুখি শেষ পর্যন্ত হতেই হয় ইমরান খানকে।

ইমরান খান পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে কুর্সি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পাকিস্তান সরকারের প্রধানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গেলে একমাত্র সাংবিধানিক নিয়ম অনাস্থা প্রস্তাব আনা। আর তা এনেই সরানো হল ইমরানকে। আর সেটাই নয়া রেকর্ড। ৭৫ সালের ইতিহাসে কোনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের কার্যকাল সম্পূর্ণ করতে পারেনি।

শুধু মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি( ২০০৮ থেকে ২০১২), নওয়াজ শরিফ ( ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭) এবং ইমরান খান (২০১৮ থেকে ২০২২) চার বছর পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের দায়িত্বে ছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে মাত্র দুবারই সংসদই তার কার্যকাল সম্পন্ন করতে পেরেছে। বেশির ভাগ সরকারই পড়ে গিয়েছে। জিয়াউল হক (১১ বছর) এবং পারভেজ মোসারফ (৯ বছর) এমন দুই সৈন্য শাসক ছিলেন, যারা পাকিস্তান সরকারের প্রধান হিসাবে সবথেকে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া