প্রতি বছর ২০০ ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন শচীন টেন্ডুলকার

খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটও ধর্ম অনেকের কাছে। আর যারা ক্রিকেটকে ধর্ম মানেন তাদের অনেকের কাছেই শচীন টেন্ডুলকার ‘গড অফ ক্রিকেট’ বা ক্রিকেট দেবতা নামে পূজিত হয়ে আসছেন।

শচীন ক্রিকেট ব্যাটে আসমুদ্র হিমাচলকে একসূত্রে গেঁথেছিলেন। ক্রিকেটের এমন কোনও রেকর্ড নেই যার পাশে শচীনের নাম লেখা নেই। সর্বাধিক রান কিংবা সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি সব মাইলফলকেই শচীনই শীর্ষে।

১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল ভারতের মুম্বাইতে জন্ম গ্রহণ করেন এই ক্রিকেটের মাস্টার মাইন্ড। শচীনই ভারতের প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি ‘ভারতরত্ন’ পেয়েছিলেন। এছাড়াও তাঁর বাড়ির দেরাজের তাকে আছে পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ, রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরষ্কার, অর্জুন পুরষ্কার।

বাইশ গজে বিধ্বংসী শচীন মাঠের বাইরে খুব মানবিক। ‘আপনালয়’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে প্রতি বছর তিনি ২০০ জন ছেলে-মেয়েদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক শচীন দেব বর্মণকে পছন্দ করতেন ক্রিকেটার শচীনের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার। তাই কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন প্রিয় শিল্পীর নামে।

আর পাঁচটা ছেলের মতো পাড়া ও স্কুল মাতানোর সাথে ক্রিকেট খেলাটাও তার চলেছে সমানতালে। সেটা বুঝতে পেরে তার বড় ভাই অজিত টেন্ডুলকার তাকে শিবাজী পার্কে নিয়ে যান। প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের কাছে ১৯৮৪ শুরু হয় তার ক্রিকেট পাঠ।

১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ১৫ বছর ২৩২ দিন বয়সে মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক শচীনের। গুজরাটের বিপক্ষের সেই ম্যাচে রাজকীয় অভিষেক; ১২৯ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থেকে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করার নজির গড়েছিলেন। তারপরের গল্পটা কেবল উত্থানের।

মাত্র ১৬ বছর ২০৫ দিন বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শচীনের টেস্ট অভিষেক। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর ক্রিকেট দুনিয়াকে অগণিত সোনালি মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন এই ‘লিটল মাস্টার’। সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় হল ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জয়।

নয় বছর হয়ে গেছে, শচীনের নামের পাশে এখন সাবেক কিংবা প্রাক্তন শব্দ জুড়ে দেওয়া। তবুও তিনি মোনালিসার ছবির মতো সদা হাস্যোজ্জ্বল, এখনও শচীন হাজার হাজার তরুণ ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা, ব্যাটে কোনও রেকর্ডের কথা আসলেই সবার আগেই তার নাম ভাসে। ৪৯ বছরে পা দেওয়া ক্রিকেট দেবতা’র মুগ্ধতা এখনও হৃদয় কাড়া। ভাল থাকুক ‘ক্রিকেট দেবতা’। শুভ জন্মদিন ‘গড অফ ক্রিকেট’।