আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু নিউজ হচ্ছে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ

তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমে সেভাবে খবর প্রকাশ হচ্ছে না।

টিপু মুনশি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তেলের দাম নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছাপা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ প্রায় সব দেশেই তেলের দাম বেড়েছে। গত এক বা দেড় মাসে গ্লোবাল মার্কেটে দামের কেমন তারতম্য সেটা নিয়ে কোনো নিউজ করা হচ্ছে না।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটাও সত্যি। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল উৎপাদন করি, কিন্তু ৯০ শতাংশই বাইরে থেকে আসে। তেল নিয়ে কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা চিহ্নিত করেছি। আমরা তা প্রকাশ করব।

প্রসঙ্গত, সরকারের নানা উদ্যোগের পরও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। একই ভাবে খোলা তেলের দাম প্রতি লিটার ধরা হয়েছে ১৮০ টাকা। সুপার পাম তেলের দাম ১৭২ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। এর আগে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে খোলা তেল প্রতি লিটারে ৪৪ টাকা এবং বোতলজাত তেলের দাম বাড়ল ৩৮ টাকা।

গত শুক্রবার থেকে এ নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে।

এরপরও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট চলছে। উপজেলা পর্যায় ও গ্রামাঞ্চলে খুচরা দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল। এমন সংকটে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ‘অবৈধভাবে’ তেল মজুত করে বাড়তি দামে সেগুলো বিক্রি করছে।