যে উপায়ে মোস্তাফিজকে টেস্ট খেলাতে চায় বিসিবি

খেলাধুলা

শ্রীলংকা সিরিজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের মিশন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেই সফরে জন্য পেস ডিপার্টমেন্ট সাজাতে সমস্যায় পড়েছেন নির্বাচকমণ্ডলী।

ইনজুরির কারণে শ্রীলংকা টেস্টেই নেই অন্যতম পেসার তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রাম টেস্টে পেশিতে টান লেগে ঢাকা টেস্ট থেকেই ছিটকে গেছেন শরিফুল ইসলাম। ফলে উইন্ডিজ সফরেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

দুই অভিজ্ঞ পেসারকে হারিয়ে নির্বাচকদের চোখ এখন মোস্তাফিজুর রহমানের দিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কাটার মাস্টারকে একাদশে পেতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

কিন্তু ইনজুরির ভাবনায় ক্যারিয়ার লম্বা করতেই টেস্ট খেলতে নারাজ মোস্তাফিজ। সে কথা সবার জানা।

২০১৫ সালে টেস্টে অভিষেক হলেও মোস্তাফিজ খেলেছেন মাত্র ১৪ টেস্ট। সবশেষ খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এবার লাল বলের চুক্তিতে নেই এই পেসার।

এ বিষয় উপায় একটা বের করেছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘আমরাও চাচ্ছি না শুধু মোস্তাফিজ, পেস বোলার যারা আছে- তারা বেশ ইনজুরি প্রবণ থাকে। আমরা চাইব এই জায়গাটায় একটু রোটেড করে খেলানোর জন্য। সেসব বিবেচনা করেই আমরা বলতে চাচ্ছি না লং রানে গিয়ে সব টেস্টেই তাকে খেলতে হবে। যখন আমরা তাকে রোটেড করে খেলাব। তখন তাকে খেলাব। সে বলেছে আমি লম্বা একটা সিজন বাইরে আছি। তাই হয়তো একটু সময় লাগবে। খুব যে ক্লান্ত এমনও না। সে জায়গায় তার একটা বিশ্রাম তো আছেই।’

ইতোমধ্যে মোস্তাফিজকে জানানো হয়েছে বিষয়টি।

এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘মোস্তাফিজ চাচ্ছিল না খেলতে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দুজন বোলার নেই। মোস্তাফিজের সার্ভিস প্রয়োজন। আমরা বলেছি তাকে খেলতে। আমরা চাচ্ছি মোস্তাফিজ টেস্ট খেলুক, অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। তাকে বলেছি, আমরা তোমাকে চাই। দেখা যাক সে কী বলে। কালকের (আজ) মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কালই (আজ) দল পাবেন আপনারা, তখন বুঝতে পারবেন।’

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টেস্ট খেলতে মুস্তাফিজের অনীহা আছে, সে কথাও ইঙ্গিতে জানালেন জালাল ইউনুস। এ বিষয়ে কাটার মাস্টারের যুক্তিটি প্রকাশ করেন বিসিবির এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘তার যুক্তি হলো সে ওখানে (আইপিএলে) আছে দুই মাস ধরে। বলছে তার লম্বা একটা সময় চলে যাচ্ছে। এখানে তার সময় নিয়ে নিচ্ছে বেশি। ফিজিক্যালি সে হয়তো বলতে পারে ফিট না। ’

মোস্তাফিজের যুক্তি যাই হোক, তাকে উইন্ডিজ সফরের জন্য প্রস্তুত করার ইঙ্গিত দিলেন জালাল।

বললেন, তো যাই হোক আমরা মোস্তাফিজকে বলেছি – তুমি আসো দেখা যাক কী করা যায়। সে হয়তো খেলতেও পারে। আসুক, কালকের মধ্যে… আজকে হয়তো নির্বাচকদের সঙ্গে তার কথা হবে।’

দিনক্ষণ ঠিক হলেও উইন্ডিজ সফরের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিক সূচি অনুসারে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে দুই দলের লড়াই। আগামী ১৬ ও ২৪ জুন টেস্ট দুটো হবে যথাক্রমে ডমিনিকা আর সেন্ট লুসিয়ায়।

টেস্টের পর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২, ৩ ও ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ তিনটি। প্রথম দুই ম্যাচ হবে ডমিনিকায়, শেষ ম্যাচ হবে গায়ানায়। সেখানেই আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই তিন ওয়ানডে দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ দলের উইন্ডিজ সফর।