ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সাজা মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরাকে

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে ইরাকের পার্লামেন্ট। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির নাগরিকদের যে কোনো ধরনের সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণকে’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। নির্ধারণ করা হয়েছে শাস্তিও। বৃহস্পতিবার এ আইন পাস হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

আইনে রয়েছে, দেশের ভেতরে ও বাইরে থাকা ইরাকের সব নাগরিকের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, দেশটিতে ভ্রমণ অথবা দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হলো।

আইনের বিধানে রয়েছে, ইরাকের যে নাগরিক ইসরায়েল ভ্রমণ করবে তার শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর যারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অথবা সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি করবে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমনকি তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হলেও— তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

এ আইন আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানেরসহ রাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাতের কোম্পানি, সংবাদমাধ্যম, বিদেশি কোম্পানি ও তাদের কর্মকর্তা সবার জন্য প্রযোজ্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ইরাক অন্য আঞ্চলিক দেশগুলোকে অনুসরণ করবে কিনা তা নিয়ে কয়েক বছর ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটাবে এ আইন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, বাহরাইন এবং মরক্কো ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যে প্রক্রিয়াকে বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন ও আরব বিশ্ব।

তেল কোম্পানিগুলো বা ইরাকে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এ আইনের কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে কুর্দিস্তান অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।