আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি দিন ছিল এটি: দীঘি

বিনোদন

আর্মি স্টেডিয়ামে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে গেল কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্ট।

কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টির কারণে প্রথমে কনসার্টই স্থগিত হয়ে যায়। পরে সিদ্ধান্ত বাতিল করে নির্ধারতি সময়ের কয়েক ঘণ্টা পরে শুরু হয় আয়োজন।

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে গত ৯ জুনের সেই কনসার্ট উপভোগ করেছেন সংগীতপ্রেমীরা। এই কনসার্ট দারুণ উপভোগ করেছেন ঢাকাই ছবির শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

এতে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ওপেন এয়ার কনসার্ট উপভোগ করলেন তিনি।

কনসার্টে প্রিয় শিল্পীদের গানের সঙ্গে চিৎকার করতে করতে গলাও ভেঙেছেন। কণ্ঠশিল্পী অর্ণবের ‘চিলতে রোদ’ গানটি শুনতে শুনতে আবেগে কেঁদেও ফেলেছিলেন এই নায়িকা।

নিজের সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন দীঘি নিজেই।

বললেন, ‘আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি দিন ছিল এটি। আমার গলা এখনো ভাঙা। ঠিকমত কথা বলতে পারছি না। আমি গিয়েছিলাম মূলত অর্ণব, তাহসান, জেমস, মমতাজ আন্টি সবার গান শোনার জন্য। মমতাজ আন্টির গান আমি তার খুব কাছ থেকেও শুনেছি। তবে কনসার্টে তার গান শোনার ব্যাপারই আলাদা।’

কোক স্টুডিও বাংলার অনেক বড় ফ্যান জানিয়ে দীঘি বলেন, ‘আমি কোক স্টুডিওর অনেক বড় ফ্যান। কোক স্টুডিও বাংলার ৫টা গান যখন শুনছিলাম স্পেশালি অর্ণবের কণ্ঠে ‘চিলতে রোদ’ শোনার সময় আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে। কারণ অর্ণব আমার কাছে অনেক বড় আবেগের নাম। আমি এত এত পছন্দ করি। তার গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি।’

গায়ক তাহসানের প্রশংসা করতেও কাপণ্য করলেন না এই অভিনেত্রী।

বললেন, ‘তাহসানের গানেরও অনেক বড় ফ্যান আমি। তা সবাই জানে। তবে কাল আমার একটা শপথ ছিল জেমসের ‘তারায় তারায়’ না শুনে বাসায় ঢুকব না। এ জন্য দেরি করে ফিরলে যদি বাসায় মাইরও খেতে হয় আমি তাও খাব। শেষ পর্যন্ত সেই গানটিও শুনেছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি দিন কেটেছে আমার।’