নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট, সিলেট ও মৌলভীবাজারে ২ যুবক আটক

গণমাধ্যম

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। গত রোববার রাতে জাফলং চা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শ্রাবণ সাঁওতাল রাজ উপজেলার জাফলং চা বাগান এলাকার রাঙা সাঁওতালের ছেলে। এ ছাড়া একই অভিযোগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর চা বাগানের রামচন্দ্র সিংয়ের ছেলে অমিত সিংকে আটক করেছে পুলিশ।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগে বিজেপি নূপুর শর্মাকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার এবং দলটির নেতা নবীন কুমার জিন্দালকে স্থায়ী বহিস্কার করেছে। তাদের এ মন্তব্য ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

গোয়াইনঘাটের ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রাবণ তার ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্বনবীকে কটাক্ষ, নূপুর শর্মাকে সমর্থন, অন্য ধর্মের বিষয় নিয়ে উস্কানিমূলক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট দেয়। এই পোস্টের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে।

বিষয়টি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নজরে এলে এসআই ইমরুল কবীর অভিযান চালিয়ে জাফলং চা বাগান এলাকা থেকে যুবককে আটক করে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল সাংবাদিকদের জানান, নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় শ্রাবণ সাঁওতাল রাজকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যসহ রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ওসি।

কমলগঞ্জের ঘটনা বিষয়ে জানা যায়, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে অমিত সিং নামে ওই যুবকের গ্রেপ্তার দাবিতে মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে যুবকের বাড়িসহ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় অমিত সিং তার এক বন্ধুর ফোন থেকে লাইভে এসে ক্ষমা চায়। ইতোমধ্যে তাকে রোববার রাতেই স্থানীয় থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে আটক করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে অমিতের সহযোগী একই ইউনিয়নের সেভেন সিংয়ের ছেলে সঞ্জয় সিং পালিয়ে গেছে। তাকে আটক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ওসি ইয়ারদৌস হাসান সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।