ঈদের আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজি, মাছ ও মাংসের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। তবে রসুনের দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। পেঁয়াজের মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর। গত সপ্তাহের মতো আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
এদিকে গত মাসে হুট করে বেড়ে যাওয়া রসুনের দাম এখন কিছুটা কমতির দিকে। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
রসুনের দাম কমার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী সবুর আলী জাগো নিউজকে বলেন, সরবরাহ কম থাকায় হঠাৎ রসুনের দাম অনেক বেড়ে যায়। তবে দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে রসুনের দাম কমতির দিকে। গত এক সপ্তাহে পাইকারিতে রসুরের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। যে কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি।
গাজর ও টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া করলাও গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
তবে কাঁকরোলের দাম কিছুটা কমে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৬০ থেকে ৮০ টাকা। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে কচুর লতি। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
তবে কাঁচা পেঁপে গত সপ্তাহের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী শরিফুল জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে সবজি কম এসেছে। ক্রেতাও কম। ঈদ উপলক্ষে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। এ কারণে সবজির চাহিদাও কম। পণ্য কম আসার পরও দাম বাড়েনি। তবে ঈদের পর সবজির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আর পাবদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ইলিশেরও। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা।