ডাক্তার-বিসিএস ক্যাডার পরিচয়ে প্রতারণা, র‌্যাবের হাতে আটক প্রতারক রায়হান

দেশ জুড়ে

লক্ষ্মীপুরে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের প্লাটফর্মে ডাক্তার, বিসিএস ক্যাডার ও উচ্চপদস্থ অফিসার পরিচয় প্রদান করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন রায়হান উদ্দিন প্রকাশ রবিন নামে এক প্রতারক।

অবশেষে প্রতারকা রায়হানকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এরআগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে অনলাইনে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১৫ টি সীম এবং নগদ ২ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রায়হান সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের আলাদাতপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্প সূত্র জানায়, অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের প্লাটফর্মে ডাক্তার ও বিসিএস ক্যাডার অফিসারসহ হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বে পরিচয়দানকারী রায়হান বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রাইভেট কার বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রচার করতো।

সুলভ মুল্যে ভালো ব্র্যান্ডের গাড়ি কেনার জন্য আগ্রহীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এতে তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে কৌশলে বিকাশ-নগদ হিসেবের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারিত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

আফজালুল করিম প্রতারণার শিকার এ ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। আফজালুল করিম চাপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব সদস্যরা প্রতারক রায়হানকে আটক করে। পরে তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভিকটিম চাপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি সেখানে মামলা করেছেন। র‌্যাব আমাদের কাছে আসামি হস্তান্তর করে। পরে আমরা আসামিকে ৬৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করি। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

র‌্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, রায়হান অনলাইন প্রতারক চক্রের মূল হোতা। প্রায় ১ বছর ধরে অনলাইন প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে তিনি কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার হেফাজতে থাকা অনলাইন পেইজগুলোতেও প্রমাণ রয়েছে।