প্রেমে পড়লে উঠতে পারি না, বুড়ি হচ্ছি বোঝা যাচ্ছে: শ্রীলেখা

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক: বয়সের সঙ্গে কি প্রেমের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে? বয়স আর প্রেম কি ব্যস্তানুপাতিক? প্রেমে ওঠাপড়ার বয়স কি নির্দিষ্ট? প্রেমের মতো সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এমনই হাজার প্রশ্ন তো ঘোরাফেরা করে মনের মধ্যে।

হয়ত যে যার নিজের মতো করে উত্তরও খোঁজেন। ঠিক যেমনটা করছেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তার মনে হচ্ছে, প্রেমে পড়ছেন না, প্রেমের অনুভূতি থেকে বেরিয়ে আসার অনুভূতিও নেই। বুড়ো হলে বোধহয় এমনটাই হয়। নিজের ফেসবুক পোস্টে এমনই লিখলেন শ্রীলেখা।

আর তাতে তার অনুগামীদের নানা প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ মজাও করছেন অভিনেত্রীর ‘প্রেমে’র পোস্টটি নিয়ে। এদিন শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্টে চোখ রেখে দেখা গেল রোমান হরফে বাংলায় তিনি লিখেছেন – ‘প্রেমে পড়লে আর উঠতে পারি না, এইবার বুড়ি হচ্ছি বোঝা যাচ্ছে।’

তার নিচে জনৈক অনুরাগীর মন্তব্য, “যত দিন যাচ্ছে, তুমি বিকশিত হচ্ছো, তোমার লাবণ্যের ছটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে তুমি তো শরীরপ্রেমী নও, মস্তিষ্কপ্রেমী। সেই লেভেলের পাচ্ছো না, তাই প্রেমে পড়ছো না।” এখন প্রেম শরীরজাত না হৃদয়জাত নাকি মস্তিষ্কজাত তা নিয়ে বিস্তর তর্কবিতর্ক রয়েছে।

তবু যদি শ্রীলেখার অনুগামীর কথাই ধরা যায়, তাহলে সেই মন্তব্যের সঙ্গে একমত অভিনেত্রী? কমেন্টের উত্তরে তেমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ছোট্ট একটি শব্দ – ‘হুম’। এতেই স্পষ্ট শ্রীলেখার মতামত। প্রেম তার কাছে শরীরজাত নয়, বরং বিপরীতে থাকা মানুষটির মেধাই তার কাছে চৌম্বক আকর্ষণ। তো কারও মধ্যে কি সত্যিই তা খুঁজে পাচ্ছেন না?

এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অবশ্য কিছুটা চর্চা করতেই হয়। এই তো, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে অনামী কোনও ‘প্রেমিক’ উপহারের ডালি সাজিয়ে দিয়ে এসেছিলেন শ্রীলেখার দরজায়। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র সকালেই তার চক্ষু একেবারে চড়কগাছ। দুয়ারে গোলাপ আর উপহার!

কে পাঠালেন তাকে এই প্রেমের উপহার? কিছুতেই বুঝতে পারেননি তিনি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ফেসবুকে সেই ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘বেনামী এক প্রেমিকের থেকে উপহার এল। কী করে বুঝব, কে পাঠিয়েছে!’ শ্রীলেখার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, একগুচ্ছ গোলাপি আর লাল রংয়ের গোলাপ। সঙ্গে একটা টেডিও!

তবে কে সেই গোপন প্রেমিক? তার পরিচয় কি এখন পেয়েছেন শ্রীলেখা? আজকের পোস্ট দেখে তো মনে হচ্ছে, মোটেই পাননি। বরং সন্ধানে আছেন। আর তাই আক্ষেপের সুরেই বয়সের কথা বলছেন। অর্থাৎ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, প্রেমের উত্থানপতন থমকেই।