মুস্তাফিজকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হাবিবুল বাশার

খেলাধুলা

তার সাম্প্রতিক অবস্থা এক কথায় খারাপ। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই বলের ধার কমে গেছে মোস্তাফিজের। শেষ ১০ ওয়ানডেতে তার উইকেট মোটে ৯টি। এরমধ্যে আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই জুলাইতে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শেষ ম্যাচেই পেয়েছেন ৪ (১৭ রানে) উইকেট। বাকি ৯ ম্যাচের ৫টিতে কোন উইকেটই পাননি।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও অনুজ্জ্বল মোস্তাফিজ। ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর ওমানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৬ রানে ৪ উইকেট শিকারই শেষ। এরপর ৪ কিংবা ৫ উইকেট বহুদুরে- শেষ ১৬ ম্যাচে একবারের জন্য ৩ উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারেননি।

প্রতি খেলায় রানও দিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর। শেষ ৭ ম্যাচে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট (এ বছর ২ আগষ্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে)। এছাড়া বাকি ৬ ম্যাচে ওভার পিছু গড় পড়তা ৯-১০ রান করে দিয়েছেন এ বাঁ-হাতি পেসার। এবারের এশিয়া কাপেও আফগানিস্তান (৩ ওভারে ০/৩০) আর শ্রীলঙ্কার (৪ ওভারে ১/৩২) বিপক্ষে ৭ ওভারে ৬২ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি মাত্র উইকেট। এক কথায় নিষ্প্রভ, ধারহীন বোলিং।

অথচ কাটার মাস্টারের কাছ থেকে প্রত্যাশা এখনও অনেক বেশি। সবার আশা, ভাইটাল ব্রেক থ্রু আনা এবং কাটার-স্লোয়ারের মিশ্রনে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কাছ থেকে সমীহ আদায়ের পাশাপাশি রানের গতিও নিয়ন্ত্রনে রাখার কাজ করবেন মোস্তাফিজ।

কিন্ত এ বাঁ-হাতি পেসার তার কিছুই করতে পারছেন না। তার কাছ থেকে সে অর্থে দল কিছুই পাচ্ছে না। তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট-এর ভাবনা কী? নির্বাচকরা মোস্তাফিজকে নিয়ে কী ভাবছেন? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকিঝুকি দিচ্ছে।

নির্বাচক হাবিবুল বাশার দিয়েছেন এ কৌতুহলি প্রশ্নের উত্তর। তার মনে হয় মোস্তাফিজ সিনিয়র বোলার, অভিজ্ঞও। এখনো সে তার সেরাটা দিতে সক্ষম।

বাশারের ব্যাখ্যা, ‘মোস্তাফিজ আমাদের সিনিয়র এবং পরীক্ষিত খেলোয়াড়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে আমরা যতটুকু চাই সেটা হয়তো হচ্ছে না; কিন্তু আমি মনে করে ওর সেরাটা এখনও দিতে পারে। সেরাটা দেওয়া এখনও বাকি।’

বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে মোস্তাফিজের মত একজন অভিজ্ঞ বোলার খুব দরকার- এ কথা জানিয়ে বাশার বলেন, ‘বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ও কিন্তু বিভিন্ন ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে। ওর স্টক ডেলিভারি ছিল, স্লোয়ার-কাটার ছিল। এগুলো নিয়েই শুধু নির্ভর করে না। কারণ ও জানে যে, দেশের বাইরে ওটা অতটা কার্যকরী হয় না, যতটা উপমহাদেশে হয়। কিছু ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে, আশা করি সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে।’