জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুই মেয়ে একে অপরকে বিয়ে করেছে।

দেশ জুড়ে নারী ও শিশু ময়মনসিংহ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুমাইয়া আক্তার আদুরি ও আরিয়ান ইসলাম সাদিয়া নামে দুই মেয়ে একে অপরকে বিয়ে করেছে
উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত বুধবার সকালে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়্।

 

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল হাটবাড়ী গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার আদুরি (১৫) ও টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলা পাঁচনখালী গ্রামের রয়েজ আলীর মেয়ে আরিয়ান ইসলাম সাদিয়া (১৫)। তিন বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। তারা দুজনেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ধিরে ধিরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে

সেই সম্পর্ককে পরিনতি দিতে গত ৩দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ চলে যান। সেখানে গিয়ে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা ধার্য করে বিবাহের অঙ্গীকার নামা লিখেন।

 

 

পরে তাদের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঢাকার মহাখালী ডোয়াইলের হাটবাড়ীতে নিয়ে আসেন। সাথে তাদের দুই সহযোগী আয়াত আক্তার (১৭) ও রফিক ইসলাম (১৮) নামে দুই মেয়েকেও নিয়ে আসা হয়। পরে এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা বৈঠক করেন। শালিস বৈঠকে ওই মেয়েদের কথা-বার্তায় তাদেরকে সমকামী বলে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশে সোর্পদ করেন। সামাইয়া আক্তার আদুরির বাবা দুদু মিয়া বলেন, অপর মেয়েটি তার মেয়ের বান্ধবী। মাঝে মধ্যে সে এখানে বেড়াতে আসত। ৩ দিন আগে অপর মেয়েটি তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে মহাখালীতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সামাইয়া আক্তার আদুরি ও আরিয়ান ইসলাম সাদিয়া উভয়ে বলেন, তারা একে অপরকে খুব ভালোবাসে। তাই তারা বিয়ে করেছে।

 

৩বছর আগে তাদের সম্পর্ক হয়। তাদের উভয়ের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়েছে। তারা একজন আরেক জনকে ছাড়তে পারবো না। ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, কিভাবে মেয়ের সাথে মেয়ের বিবাহ হয়। এটা সত্যিই একটি নেক্কার জনক ঘটনা। ওই মেয়েদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি গোলমেলে মনে হয়। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মহব্বত কবীর বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়ে চার জনকে জিঞ্জাসাবাদ করা জন্য থানায় আনা হয়েছে।