আফগান তরুণীকে পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ, লজ্জায় আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক

বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় এক তরুণীকে পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ দিয়েছিল আফগানিস্তানের কট্টরপন্থি গোষ্ঠী তালেবান।

দেশটির ক্ষমতাসীন এ গোষ্ঠীর এমন নির্দেশের পর ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর খামা প্রেসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ঘরপ্রদেশের বিবাহিত এক পুরুষের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণী। পরে তালেবান কর্তৃপক্ষ তাকে পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ দেয়। জনসমক্ষে অপমান এড়াতে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।

তালেবানের কর্মকর্তারা বলেছেন, যে পুরুষের সঙ্গে ওই তরুণী পালিয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার তারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

ঘরপ্রদেশে তালেবানের প্রাদেশিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মুখপাত্র আবদুল রহমান বলেছেন, দেশে নারী কারাগারের সংকট থাকায় ওই তরুণীকে প্রকাশ্যে পাথর মারার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

তালেবানের এ নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, শাস্তি কার্যকরের আগেই ওই তরুণী স্কার্ফ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন।

সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে নারীদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তালেবান সরকার পালিয়ে যাওয়া এ নারীদের পাথর মেরে হত্যা বা প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের নির্দেশ জারি করেছে।

গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নারীদের শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।

খামা প্রেসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট এবং বিধিনিষেধের কারণে নারীদের কর্মক্ষেত্র থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্ষমতায় এসেই অবাধ চলাচল ও নারী অধিকারের লাগামও টেনেছে কট্টরপন্থি সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।