সানস্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়

স্বাস্থ

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। তাই আমাদের সকলের হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয় হবে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া। চলমান তাপদাহে হিটস্ট্রোক থেকে নিরাপদ থাকতে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে:

হাইড্রেটেড থাকুন: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজাদাররা ইফতার ও সেহরির মাঝখানের সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। চা, কফি এড়িয়ে চলুন। চা, কফির ক্যাফেইন আপনাকে ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) করে ফেলতে পারে।

ঠাণ্ডা থাকুন: ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন। বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। একান্তই বের হওয়া লাগলে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন, ঘন ঘন বিরতি নিন এবং বিশ্রামের জন্য ছায়া বা শীতল জায়গা খুঁজুন, ছাতা ব্যবহার করুন। বিপদ চিহ্নগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন: তাপ ক্লান্তির (হিট এক্সহোশন) লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

আপনি যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় যান, পানি পান করুন এবং বিশ্রাম নিন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়া, অসংলগ্ন কথা বলা বা অসংলগ্ন আচরণ করা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আপনার বা আপনার আশেপাশের কারো মধ্যে এই উপসর্গগুলো থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মসজিদ কমিটিদের প্রতি অনুরোধ, মসজিদগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখুন। শ্রমজীবী ও পথচারীদেরকে ওজুখানার পানি ব্যবহার করতে দিন। মসজিদের ভেতরে বিশ্রাম নিতে দিন।

সবার প্রতি অনুরোধ, ভবিষ্যতে তাপদাহ থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কালপ্রিট হলো গ্রীনহাউজ গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড।