নারীদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ধর্ম

নারীদের নামায আদায় করার বিবরণ
পুরুষ ও নারীর নামায প্রায় একই রকম । কেবল কয়কটি বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে। যেমন-

 

নারীদের উড়না বা চাদর ব্যবহার
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে।তিনি বলেন ,মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন ,খিমার (উড়না) ব্যতীত বালেগা নারীর নামায কবূল হয় না ।(আবু দাউদ ও তিরমিযী)

বালেগা নারীর মাথার চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং তা ঢেকে রাখা ফরয।চুল খোলা রেখে নামায আদায় করলে ফরয তরক হওয়ার কারণে নামায হবে না । তবে মাথার চুল ঢেকে রাখার জন্য যে কোন কাপড় বা চাদর ব্যবহার করা যায়।

 

নারীদের নামাযে দাঁড়ানোর নিয়ম
মহিলারা নামাযের উভয় পা মিলায়ে দাঁড়াবে ।দু’পায়ের মাঝখানে কোন ফাঁকা থাকবে না। বিশেষ করে উভয় গোড়ালী যেন কাছাকাছি মিলে থাকে ।কিন্তু পুরুষদের ক্ষেএে দু’পায়ের মাঝখানে স্বাভাবিক কিছু ফাঁকা থাকবে।

 

নারীদের হাত উঠানোর নিয়ম
মহিলাদের তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় কান বরাবর হাত উঠাবে না বরং কাঁধ বরাবর উঠাবে যাতে বৃদ্ধা অঙ্গুলি কাঁধ বরাবর থাকে এবং অন্যান্য আঙ্গুলিগুলোর মাথা কাঁধের উপরে উঠে ,কিন্তু কানের উপরে নয় । হাত কাপড় উড়না বা চাঁদরের ভিতরে থাকবে। কাপড়ের ভিতর থেকে হাত বের করবে না।         (ফতোয়ায়ে শামী)

 

 

নারীদের হাত বাঁধার নিয়ম
তাকবীরে তাহরীমা বলে পুরুষরা হাত বাঁধবে নাভির নিচে। আর মহিলারা হাত বাঁধবে বুকের উপরে । -(তাহতাবী)
পুরুষরা হাত বাঁধার সময় ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা অঙ্গুলি দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরবে এবং ডান হাতের অনামিকা ,মধ্যমা ও শাহাদত আঙ্গুল এর বাম হাতের কলাইর ওপর বিছিয়ে রাখবে এবং মহিলারা শুধুমাএ হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠের ওপর রাখবে। কব্জি ধরবে না।

নারীদের কিরাআত পাঠ করার নিয়ম
মহিলাদের জন্য উচ্চকন্ঠে কেরাআত পাঠ করার ও তাকবীর বলার অনুমতি নেই। তারা সর্বদা সব নামাযের কেরাআত , তাকবীর , তাসমী ও তাহমীদ চুপে চুপে বলবে। -(শামী)

 

নারীদের রুকু করার নিয়ম
রুকূর সময় পুরুষরা এমনভাবে ঝুঁকবে যেন মাথা, পিঠ ও কোমর এক বরাবর ।আর মহিলারা এ পরিমাণ ঝুঁকবে যেন হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে।
রুকূ করার সময় পুরুষরা হাতের অঙ্গুলিগুলো ফাঁক করে হাঁটু ধরবে কিন্তু মহিলারা অঙ্গুলিগুলো মিলিত অবস্থায় রেখে হাঁটুর ওপর রাখবে।
রুকূ অবস্থায় পুরুষগণ কনুই পাঁজর হতে পৃথক রাখবে এবং মহিলারা কনুই পাঁজরের সাথে মিলিয়ে রাখবে। -(মারাকী)

 

নারীদের সিজদা করার নিয়ম
সেজদার সময় পুরুষরা পেট উরু থেকে এবং বাজু বগল থেকে পৃথক রাখবে আর মহিলারা পেট রানের সাথে এবং বাজু বগলের সাথে একএিত করে রাখবে।
সেজদার সময় পুরুষরা কনুই মাটি থেকে ওপরে রাখবে এবং মহিলারা মাটির সাথে লাগিয়ে রাখবে। -(মারাকী)
সেজদার সময় পুরুষরা পায়ের অঙ্গুলিগুলো ক্বেবলারোখ করে রেখে তার ওপর ভর দিয়ে পায়ের ওপর পাতা খাড়া রাখবে এবং মহিলারা উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বের করে দিয়ে মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। -(মারাকী)

 

নারীদের নামাযে বসার নিয়ম
বসার সময় পুরুষরা ডান পায়ের অঙ্গুলিগুলো ক্বেবলা মুখী করে তার ওপর ভর দিয়ে ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে এবং বাম পায়ের পাতা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর বসবে কিন্তু মহিলারা পায়ের ওপর বসবে না, বরং চোতর মাটির সাথে মিলিয়ে বসবে এবং উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বের করে দেবে এবং ডান রান বাম নলার ওপর রাখবে। -(মারাকী)

 

চিএে নারীদের দাড়ানোর নিয়ম
মহিলাগণ উভয় পা মিলায়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে উভয় গোড়ালী কাছাকাছি থাকবে। দু’পায়ের মাঝখানে ফাঁকা থাকবে না।
(বেহেশতী যেওর ২/১৭)

 

 

চিত্রে নারীদের হাত উঠানোর নিয়ম
মহিলাগণ তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় কান বরাবর হাত উঠাবে না বরং কাঁধ বরাবর উঠাবে। তাও হাত কাপড়ের ভেতরে রেখে, কাপড় থেকে বের করে নয়।

(বেহেশতী যেওর, শামী ১/৪৮৩)

 

চিত্রে নারীদের হাত বাধার নিয়ম
মহিলাগণ পুরুষের মত নাভীর নীচে হাত বাঁধবে না বরং বুকের উপর শুধু বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাতের তালু দ্বারা চেপে ধরবে ।(শামী ১/৪৮৭)

হাত রাখার নিয়ম (কাপড়ের ভেতর হাত রাখবে)

 

চিত্রে নারীদের রুকু করার নিয়ম
রুকুতে মহিলাদের পুরুষের মত কোমর সোজা রাখার প্রয়োজন নেই। মহিলারা পুরুষের থেকে কম ঝুঁকবে।

(তাহতাবী আলাল মারাকী, আলমগীরী ১/৭৪)

চিত্রে নিয়ম

রুকুর অবস্থায় মহিলাগণ হাঁটুর উপর আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে, যাতে আঙ্গুলের মাঝখানে ফাঁকা না থাকে। শুধু হাঁটুর উপর হাত চেপে রাখবে, হাঁটুকে আঁকড়িয়ে ধরবে না।

(দুররে মুখতার, শামী ১/৫০৪)
মহিলাগণ রুকুতে পুরুষের ন্যায় পা গুলো সোজা রাখবে না বরং হাঁটু সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখবে আর পিঠ সামান্য বাঁকা রাখবে।

(দুররে মুখতার, শামী ১/৫০৪)

চিএে নিয়ম

 

 

মহিলাগণ রুকু করার সময় নিজের বগল ও বাহু মিলিয়ে রাখবে। সংসদের ন্যায় বগল ও বাহু পৃথক থাকবে না ।

(আলমগীরী ১/৭৫)

 

সিজদার সময় পা রাখার নিয়ম
সেজদায় যাওয়ার সময় পুরুষেরা হাঁটু যমীনে ঠেকানোর আগে সীনা ঝুঁকাবে না। কিন্তু মহিলারা প্রথম থেকেই শরীর সামনে ঝুঁকাতে পারবে।

চিত্রে নিয়ম

 

সিজদার সময় পা রাখর নিয়ম
মহিলাগণ সেজদায় রান পেটের সাথে এবং বাহু বগলের সাথে মিলায়ে রাখবে এবং উভয় পা খাড়া করে রাখার পরিবর্তে ডান দিকে বের করে বিছিয়ে দিবে।      (আলমগীরী ১/৭৫)

উভয় পা ডান দিকে বের                        রানও বাহুর অবস্থা
পুরুষগণ সেজদা করার সময় মাটি হতে উপরে রাখবে কিন্তু মহিলাগণ মাটিতে বিছিয়ে রাখবে।

(দুররে মুখতার, শামী ১/৫০৪)

 

চিত্রে নিয়ম

 

দু সিজদার মাঝে নারীদের বসার নিয়ম
দু সেজদার মধ্যবর্তী সময় ও আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় মহিলাগণ উভয় পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম নিতম্বের (পাছার নিম্নাংশ) উপর বসবে। উভয় পা ডান দিকে বের করে দিবে এবং ডান পায়ের নলা বাম পায়ের নলার উপর রাখবে ।     (তাহতাবী ১৪১)

চিত্রে নিয়ম

সিজদার সময় নারীদের হাত রাখার নিয়ম
পুরুষগণ রুকু করার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে এবং সেজদায় মিলিয়ে রাখবে। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিকভাবে থাকবে, মিলাবেও না ফাঁকাও করবে না। কিন্তু মহিলারা সর্বাবস্থায় রুকু, দেখনা, বসা, সকল স্থানেই আঙ্গুলগুলো মিলায়ে রাখবে, কোন অবস্থাতেই মঙ্গুলের মাঝে ফাঁকা রাখবে না। (শামী ১/৫০৪)

 

 

মহিলাদের জামায়াত
মহিলাদের জামাআত করা মাকরূহ। তারা একাকী নামায পড়বে। হ্যাঁ, যদি ঘরের মধ্যে কেবল মোহরেম (অর্থাৎ যাদের সাথে আজীবন বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম) ব্যক্তিগণ জামাআত করছে, এমতাবস্থায় মহিলারা জামাআতে শরীক হওয়াতে দোষ নেই। তবে মহিলারা পুরুষদের পৃথক কাতারে দাঁড়াবে। পাশাপাশি কখনও দাঁড়াবে না। (শামী ১/৫০৪)

 

ইস্তিহাযা অবস্থায় নারীদের নামায
ইস্তিহাযা এর অর্থ প্রবাহিত হওয়া। শরীয়াতের পরিভাষায় কোন রোগ ব্যধির কারণে কোন মহিলার গর্ভাশয়ের মুখে বিদ্যমান রগ থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকে ইস্তিহাযা বলে ।
ইস্তিহাযা অবস্থায় নারীর হুকুম মা’যুরের হুকুমের অনুরূপ।           ইস্তিহাযার কারণে নামায রোযা কিছুই ত্যাগ করতে পারবে না। বরং নামায রোযা যথা সময়ে আদায় করতে হবে। এমনকি এ সময় স্ত্রী সহবাস করাও বৈধ।
(ফতোয়ায়ে আলমগীরী)

 

ইস্তিহাযা অবস্থায় নারীর প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য নতুন করে ওষু করতে হবে এবং এ ওযু দ্বারা ওয়াক্তের মধ্যে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত এবং নফল সব ধরনের নামায আদায় করতে পারবে। কুরআন তেলাওয়াতও করতে পারবে এবং তিলাওয়াতে সিজদাও আদায় করতে পারবে।

 

 

নারীদের হায়েয ও নিফাস অবস্থায় নামায
হায়েযের অর্থও হচ্ছে প্রবাহিত হওয়া। হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হল তিন দিন তিন রাত এবং সর্বোচ্চ সময় দশ দিন দশ রাত। এ সময়সীমা ব্যতীত অর্থাৎ তিন দিন তিন রাতের কম এবং দশদিন দশ রাতের বেশী সময় যদি রক্তস্রাব দেখা দেয় তাহলে তিন দিনের কম এবং দশ দিনের বেশী সময়ের রক্তস্রাব ইস্তিহাযা বলে গণ্য হবে।

হায়েয ও নিফাস অবস্থায় নামায মাফ । এ নামাযের কাযা আদায় করতে হবে না। কিন্তু রোযা মাফ নয়। রোযার কাযা আদায় করতে হবে। এটা শরীয়তের বিধান ।
হায়েযা নারীর জন্য মুস্তাহাব হল, নামাযের ওয়াক্ত হবার পর ওযু করে নিজের ঘরে নামাযের স্থানে বসে পাক পবিত্র অবস্থায় নামায আদায় করতে যে পরিমাণ সময় প্রয়োজন হয় ঐ পরিমাণ সময় তাসবীহ তাহলীল পাঠ করা । হায়েয অবস্থায় যদি নামাযের অভিনয় করা না হয় তাহলে মাতা, পিতা, সন্তান সন্ততি বা আত্মীয় স্বজন হয়তো ভিন্ন মনোভাব পোষণ করতে পারে।
হয়তোবা মনে করতে পারে যে, এ মহিলা নামাযী নয়। সন্তান সন্ততির মনে হয়তো বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ওয়াক্ত হলে হায়েযা নারীর নামাযের অভিনয় করা উত্তম, এতে কোন গুনাহ হবে না।


নারীদের আযান ও ইকামাত দেয়া

নারীদের আযান দেয়া মাকরূহ তাহরীমি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে অবুঝ ও নির্বোধ হলে তার আযান দেয়া মাকরূহ। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে যদি বুদ্ধি সম্পন্ন হয় তাহলে তার আযান দেয়া মাকরূহ হবে না ।
যেহেতু নারীদের আযান দেয়া মাকরূহ তাহরীমা কাজেই ইকামত দেয়াওঁ তাদের জন্য মাকরূহ তাহরীমি ।

নারীদের আযানের উত্তর দেয়া
নারীদেরকেও আযানের উত্তর দিতে হবে। আযানের উত্তর দেয়া কারো মতে ওয়াজিব, আবার কারো মতে মুস্তাহাব। হায়েয ও নিফাস অবস্থায় নারীগণ আযানের উত্তর দিবে না।

 

নারীদের জামাআত করা
নারীদের জামাআত করা মাকরূহ। তারা একাকী নামায আদায় করবে। তবে বাসা বা বাড়ীর ভিতর যাদের সাথে আজীবন বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম যেমন- পিতা, ভাই, মামা, দাদা, নানা, স্বামী তারা যদি জামাআত করে তাহলে নারীরা জামাআতে নামায আদায় করতে পারবে এতে কোন দোষ নেই। তবে নারীরা পুরুষদের পিছনেস্বতন্ত্র কাতারে দাঁড়াবে। পুরুষদের পাশাপাশি দাঁড়াবে না ।
বাসা বাড়ীতে জামাআতে নামায আদায় করার সময় ইমাম যদি গায়রে মুহরিম হয় এবং জামাআতে যদি পুরুষ ও নারী থাকে তাহলে ইমামের পিছনে প্রথমে পুরুষেরা দাঁড়াবে, তারপর নাবালক ছেলে, অতঃপর নাবালিকা মেয়ে এবং তারপর নারীরা দাঁড়াবে।

 

নারীদের মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করা
মহানবী (সঃ)-এর যমানায় নারীরা মসজিদে গিয়ে তাঁর পিছনে নামায আদায় করার জন্য আকাঙ্খা পোষণ করতেন এবং মদীনায় মসজিদে নববীতে জামাআতে নামায আদায় করতেন। মহানবী (সঃ)-এর যুগে নারীদের মসজিদে এসে যথারীতি জামাআতের সাথে নামায আদায় করার ব্যবস্থাও দিয়ে ছিল। পরবর্তীতে যখন পর্দার বিধান অবতীর্ণ হয় তখন অনেক পুরুষই ধর্মীয়, সামাজিক ও আত্মমর্যাদার জন্য নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া, কিংবা মসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায় করা পছন্দ করতেন না । মহানবী (সঃ) নারীদের মসজিদে যেতে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন। তবে তিনি নারীদের মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন নি। বরং তিনি নারীদের জন্য ঘরে নামায আদায় করাকেই উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন।
মহানবী (সঃ)-এর যুগে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করে সাহাবায়ে কেরাম তথা মুসলমানদের চরিত্র এমন উন্নত হয়ে গড়ে উঠেছিল যে, তাঁরা পাপকে এবং আখেরাতকে অত্যধিক ভয় করত। তাই সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ যদি কোন পাপ কাজ করে ফেলতেন তাহলে সাথে সাথে আখেরাতের শাস্তির ভয়ে মহানবী (সঃ)-এর দরবারে এসে বলে দিতেন, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) ! আমাকে শাস্তি দিন কারণ আমি পাপ করে ফেলেছি।
মহানবী (সঃ) এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন, যেখানে প্রতিটি নারী তাদের পূর্ণ অধিকার লাভ করেছিল। রাতের অন্ধকারে তারা একাকী পথ চলতে পারত। তাদের নিরাপত্তার উপর আঘাত করার দুঃসাহস তখন কেউ পেত না ।
পরবর্তীতে মুসলমানদের ঈমান ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ে। পাপ ও আখেরাতের শাস্তির প্রতি ভয় কমে যেতে থাকে। নারীদের জীবনধারায় এসে যায় অনেক পরিবর্তন। তাই হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতের সময় নারীদের মসজিদে জামাআতে নামায আদায় করার জন্য আসা নিষেধ করা হয়। তখন এ সিদ্ধান্তে কোন সাহাবীই আপত্তি উত্থাপন করেন নি।

তবে মসজিদে নারীদের নামায আদায় করার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকলে সেখানে তারা নামায আদায় করতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের পর্দার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। পুরুষের সাথে যেন কোন মেলামেশা না হয়, ফিতনা ফাসাদের সৃষ্টি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।


নারীদের ইমামতি করা

মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, সাবধান। নারীরা যেন পুরুষদের ইমামতি না করে। (ফতোয়ায়ে শামী)
নারী ইমাম হয়ে শুধু নারীদের নামাযের জামাআত কায়েম করাও মাকরূহ।