হরতালে কয়েকটি জেলায় মাঠে নেই বিএনপি, মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান

হরতালে কয়েকটি জেলায় মাঠে নেই বিএনপি, মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান

রাজনীতি

মহাসমাবেশের পর বিএনপি-জামায়াতের দেশজুড়ে ডাকা আজ রোববারের হরতালে কয়েকটি জেলায় দল দুটির নেতা-কর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি; বরং এসব জেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব কটি জেলাতেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাগেরহাট

বাগেরহাটে সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনাসহ বিভিন্ন রুটের বাস ছেড়ে গেছে। তবে সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
মাঠে না থাকলেও বিএনপির দাবি, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে

হরতাল সমর্থন করেছেন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। গতকাল শনিবার রাতে আমাদের কয়েকজন নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাঁরা আমাদের হরতাল সমর্থন করেছেন।’

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ সকাল ছয়টা থেকেই বাগেরহাট শহরের দশানী ট্রাফিক মোড়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। সেখানে পথসভায় জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েশী আশরাফী জেমস প্রমুখ।
বাগেরহাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বাস ছেড়ে যায়নি। অন্যান্য যানবাহন ও পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।

নাটোর
নাটোরে হরতাল আহ্বানকারীরা মাঠে নেই। তবে শান্তি সমাবেশ আহ্বানকারীরা হকিস্টিক, লাঠি ও রড নিয়ে শহরজুড়ে মহড়া দিচ্ছেন। পুলিশ মোড়ে মোড়ে বসে থেকে সময় কাটাচ্ছে। আজ সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নাটোরের শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে বিএনপির ডাকা হরতালের এই চিত্র চোখে পড়ে।
সকাল ছয়টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র কানাইখালী ছিল নীরব। পত্রিকা বিক্রেতাদের আনাগোনা ও নিয়মিত যাঁরা প্রাতর্ভ্রমণ করেন, তাঁদের শুধু চোখে পড়েছে। সকাল সোয়া ছয়টার দিকে আলাইপুরের প্রবেশমুখ মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে জনাচারেক পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন। এখান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার সামনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ওরফে দুলুর বাড়ি ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়। এখানে সব সময় পুলিশ থাকলেও আজ ছিল না। বিএনপি কার্যালয়েও তালা ঝুলছিল।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কানাইখালী এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কিছু তরুণ হাতে হকিস্টিক, লাঠি ও পিঠে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। নিজেরাই মুঠোফোনে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছিলেন তাঁরা। পরে তাঁরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে মহড়া দিচ্ছিলেন।
আজ সকাল সোয়া সাতটার দিকে নাটোরের কানাইখালী এলাকায় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত একদল তরুণ হকিস্টিক হাতে মোটরসাইকেলে করে মহড়া দেয়

আজ সকাল সোয়া সাতটার দিকে নাটোরের কানাইখালী এলাকায় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত একদল তরুণ হকিস্টিক হাতে মোটরসাইকেলে করে মহড়া দেয়ছবি: প্রথম আলো
হরতালের দিন মাঠে না থাকার বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের অধিকাংশ নেতা ঢাকায় অবস্থান করছেন। কর্মীরা গতরাতে শহরে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছেন। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাঁরা নিজেরাই ঘর থেকে বের না হয়ে হরতালকে সমর্থন দিচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শহরের কোথাও হরতাল পালিত হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচল করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবে তাঁদের কর্মীরা রাজপথে আছেন।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় হরতালের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা মাঠে না থাকলেও পুরো শহর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দখলে রেখেছেন। এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছেন নেতা-কর্মীরা। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এবং ছাত্রলীগ পুরোনো জেলখানার পাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিকেলে শহীদ হাসান চত্বরে এবং শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কে পৃথক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

হরতালের দিনে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার কোনো জায়গা থেকে পিকেটিং বা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়নি। আন্তজেলা পাঁচটি পথের মধ্যে চারটি পথেই পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরা কোনো গাড়ি ছাড়েননি। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনাসহ দূরপাল্লার পথে কোনো বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। সরকারি দপ্তরগুলো খুললেও সেখানে সেবাগ্রহীতাদের উপস্থিতি কম ছিল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন মুক্তা প্রথম আলোকে বলেন, সম্ভাব্য ঝামেলার আশঙ্কায় পরিবহনশ্রমিকেরা গাড়ি চালাতে আগ্রহ দেখাননি। এ কারণে বাস-ট্রাকসহ সড়ক পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিকেল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়া হবে।
জেলার পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৩৮ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। তবে ভোর থেকে কাভার্ড ভ্যান ও স্বল্প দূরত্বের কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এ সময় বিভিন্ন যাত্রীছাউনিতে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে টহল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান চোখে পড়ে। এদিকে মোটরসাইকেলে লাঠি হাতে কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে মহড়া দেন মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফুল কামাল।

আজ ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলা এলাকায় সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় কোথাও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল আটটায় মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া বাজার এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেনোয়ার বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বোন অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে যাব বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। রাস্তায় এসে দেখি বাস নেই। অনেকক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। হরতাল দারুণ দুর্ভোগে ফেলেছে।’

হরতালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে আজ সকাল থেকে মিরসরাইয়ের বড় দারোগারহাট থেকে মিরসরাই সদর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোটরসাইকেলে লাঠি হাতে মহড়া দেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা
হরতালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে আজ সকাল থেকে মিরসরাইয়ের বড় দারোগারহাট থেকে মিরসরাই সদর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোটরসাইকেলে লাঠি হাতে মহড়া দেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-
সকাল সাড়ে সাতটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীছাউনিতে অপেক্ষা করছেন চট্টগ্রাম শহরে যেতে চাওয়া চাকরিজীবীরা। তবে দূরপাল্লার বাস না থাকলেও কিছুক্ষণ পরপর সেখান থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে কিছু মিনিবাস ছেড়ে যাচ্ছিল। সেখানে পুলিশের একটি দলকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

কথা হয় পুলিশের দলটির কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম রবিউল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোর থেকে রাস্তায় আছি আমরা। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।’

সকালে মিরসরাই উপজেলার বড় দারোগারহাট থেকে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফুল কামাল মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে লাঠি হাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মহড়া দেন। এ সময় উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায় মিরসরাই পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলাচল কম। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা মাঠে আছি। মিরসরাইতে এখনো কোনো খারাপ খবর নেই।’
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
বিএনপির ডাকা হরতালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে আছে। আজ সকাল থেকে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে অবস্থান নেন। যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও শহরে যানবাহনের চলাচল ছিল বাধাহীন। তবে মহাসড়ক ছিল বাসশূন্য।
আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভৈরবে হরতালের সমর্থনে বিএনপির কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি। মিছিল বের হয়নি, হয়নি কোনো পিকেটিং।

গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পৌর শ্রমিক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাবুল মিয়া আছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাতে আন্তনগর এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকেও কয়েকজনকে আটক করা হয়। তবে অভিযানের কথা স্বীকার করলেও ট্রেন থেকে কাউকে আটক করার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
আজ সকাল থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে

হরতাল ডেকে মাঠে না থাকার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এখনো ঢাকায় আছেন। ফলে ভৈরবের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হরতাল ডেকেছে বিএনপি। কিন্তু তাঁরা মাঠে নেই। মাঠে আসার সাহসও নেই। সুতরাং বিএনপির কোনো কর্মসূচি আর মাঠপর্যায়ে পালন হতে দেওয়া হবে না।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ১৪ জনকে আটক করা হয়। তাঁরা মূলত বিভিন্ন মামলার আসামি। আবার কাউকে আটক করা হয়েছে জঙ্গি সন্দেহে।