গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ২০

আন্তর্জাতিক

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির রাফা এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কুয়েত হাসপাতালের কাছে অবস্থিত ওই আবাসিক ভবনে আশ্রয় নিয়েছিল ওই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা।

 

কিন্তু সেখানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপদ অঞ্চল মনে করে ফিলিস্তিনিরা যেখানে আশ্রয় নিচ্ছে সেগুলোও এখন ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদেও হামলা চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার এক সাংবাদিক সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ওমারি মসজিদে হামলা চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওমারি মসজিদ ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।

 

এটি প্রায় ১৪০০ বছরের প্রাচীন একটি মসজিদ। কিন্তু হাজার বছরের পুরোনো এই ঐতিহাসিক মসজিদটিও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহায় পায়নি। এদিকে ‘গণহত্যার অপরাধে’ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দাক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার প্রায় তিন মাস পর এই মামলা করা হলো। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। তাছাড়া ধ্বংস হয়ে গেছে সব বাড়িঘর। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

 

আদালতের কাছে এক আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। কারণ সেখানে একটি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়েরকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।