নির্বাচনে হেরে মাহি বললেন, ‘তিনি তো জমিদার সাহেব, তার সঙ্গে আমার যুদ্ধ

নির্বাচনে হেরে মাহি বললেন, ‘তিনি তো জমিদার সাহেব, তার সঙ্গে আমার যুদ্ধ

রাজনীতি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া সেই জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যান এই চিত্রনায়িকা। এই নিয়ে কিছুটা মন খারাপ হলেও অনেক কষ্টই মনে চেপে রেখেছেন মাহি। সেগুলো নিয়ে কথা বলতে চান না। নির্বাচন শেষে পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।গতকাল নির্বাচনের মাঠের বেশ কিছু ঘটনার ভিডিও দেখলেও সেগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না এই নায়িকা। সব ঠিকঠাক মনে করে এখন নতুন করে পরিকল্পনা করছেন মাহিয়া মাহি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো এলাকায় রয়েছি। অনেক কিছু নিয়ে কথা থাকলেও সেগুলো বলতে চাই না।

 

আমি মানুষের কাছে গিয়েছি, তাঁদের সাড়া পেয়েছি। (তাঁরা) ভালোবেসেছেন। ফেসবুকে অনেক কিছুই দেখেছি।’ সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয়েছে কি বা কোনো অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব কথা বলতে চাই না। তবে হ্যাঁ, সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয়েছে।’গতকালই তিনি ধারণা করেছিলেন, নির্বাচনের ফলাফল কী হবে। তবে এই নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। ঢাকায় ফিরবেন কবে জানতে চাইলে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘এখান থেকে তো আর হুট করে যেতে পারব না। এলাকায় সবকিছু গোছগাছ করতে কদিন সময় লাগবে।

তারপর ঢাকায় ফিরব। পরে কী করব, সেসব নিয়েই পরিকল্পনা করছি। একটু ঠিকঠাক করে গুছিয়ে নিচ্ছি।’এদিকে মাহিয়া মাহির পরাজয়ের পর থেকে ফেসবুকে একটি গ্রুপ নানা রকম ভিডিও নির্মাণ করছে। এসব ভিডিওতে মাহিকে নিয়ে ঠাট্টা করা হচ্ছে। এগুলো মাহির নজরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আর নতুন করে কী বলব। আমার অভ্যাস আছে। আমি ইউজড টু। ট্রল তো নিয়মিতই আমার সঙ্গে হয়। কিন্তু একটা কথা বলব, মানুষকে এভাবে ট্রল করা ঠিক না। একটা মেয়ে হয়ে নির্বাচন করেছি।’ এ সময় তিনি ট্রলকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না প্লিজ। আপনারা, আপনাদের কাছের কেউ নির্বাচন করলে তখন বুঝতে পারবেন, এটা কতটা কঠিন।’

 

রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই নায়িকা পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। সেই হিসাবে তৃতীয় হয়েছেন মাহিয়া মাহী। নির্বাচনের পরে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, তিনি ফোন করেছিলেন কি না জানতে চাইলে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘তিনি তো জমিদার সাহেব, তাঁর সঙ্গে আমার যুদ্ধ, তিনি কেন আমাকে ফোন দেবেন। তিনি আসলে সেই রকম নন। তিনি সো অ্যারোগেন্ট। কেন আমাকে ফোন দেবেন।’