একান্তে অমলিন
ড. মানসী দাস
আটপৌরে জীবনের যাপন ঘরে
ভাঙা চোরা কত কিছুই যে জমা হয়ে আছে |
যতবার ভাবি ফেলে দেবো আস্তাকুঁড়ে,
প্রাণে ধরে ফেলতে পারিনা স্বভাবের বশে |
ভাঙা হাতপাখা , ছেঁড়া মাদুর
সবকিছুই তুলে রাখা আছে
এই ভেবে, যদি কখনও কোনো তপ্ত দুপুর
নিরালায় শীতল হতে চায় মায়া ভরা স্পর্শে |
হলদেটে ডায়রির ভাঁজে ভাঁজে
শুকিয়ে যাওয়া ঝরা বকুল আজও আছে,
কোনো এক বৃষ্টি শেষের সাঁঝে
যারা তাজা সুবাস নিয়ে ঝরে পড়েছিল ঘাসে |
পুরানো রং চটা উলের সোয়েটার
যাতে মায়ের স্পর্শ লেগে আছে ,
আর বাবার কাছে প্রথম আবদার
সেই হাত ঘড়িটাও রাখা আছে, যার দম বন্ধ হয়ে গেছে |
খামে ভরা চিঠিগুলো যার অর্ধেক উঁইপোকা খেয়েছে
সেগুলোও যত্নে গুছিয়ে রাখা আছে |
আর যে অক্ষর গুলো ক্রমেই ঝাপসা হয়ে গেছে
তা এখনও মনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে ভাসে |
জানি এ সবই নগন্য মূল্যহীন ,
তবুও তাদের সযত্নে আগলে রাখি |
যুগ যুগ ধরে থাকুক তারা গোপনে অমলিন
যেখানে একান্তে আমি আমার হয়ে বেঁচে থাকি |