বর্ষাকালের পেয়ারার উপকারিতা এবং সতর্কতাগুলো

বর্ষাকালের পেয়ারার উপকারিতা এবং সতর্কতাগুলো

স্বাস্থ

বর্ষাকালে পেয়ারার মৌসুম শুরু হয়, আর এই সময়ই পাওয়া যায় সবচেয়ে রসালো ও সুস্বাদু পেয়ারা। যদিও এই ফল অন্যান্য মৌসুমেও পাওয়া যায়, বর্ষাকালের পেয়ারার স্বাদ আলাদা। বিট লবণ ও কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারার ভর্তা দেখলেই অনেকের মুখে জল চলে আসে।

এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, যা কাঁচা কিংবা পাকা যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক না কেন, স্বাস্থ্যগত উপকারে আসে। ভিটামিন বি, ক, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজসহ একাধিক পুষ্টি উপাদানে পূর্ণ এই ফল মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুরোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।

তবে, সব ফলের মতো পেয়ারারও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবাই এই ফলটি খেতে পারেন না। বিশেষ কিছু শারীরিক অবস্থায় পেয়ারার ভোগান্তি হতে পারে।

যারা পেয়ারার থেকে দূরে থাকবেন, তাদের জন্য কিছু সতর্কতা:

অ্যালার্জি: যারা পেয়ারায় অ্যালার্জিক, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। ব্রেস্টফিডিং করানো মায়েদেরও পেয়ারার খাওয়া উচিত নয়।

পেটের সমস্যা: যারা পেট ফাঁপা, বদহজম বা বমির মতো সমস্যা ভোগেন, তাদের জন্য পেয়ারার খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।

একজিমা ও চুলকানি: যারা একজিমায় আক্রান্ত, তাদের জন্য পেয়ারার খাওয়া সীমিত করা উচিত। এর পাতা কিংবা ফলের খাওয়া ত্বকের সমস্যাকে বাড়াতে পারে।

ডায়াবেটিক রোগী: পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পেয়ারার খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। রক্তে শর্করা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।

অস্ত্রোপচার পূর্বে: যারা অস্ত্রোপচার করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অন্তত দু’সপ্তাহ পেয়ারার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। পেয়ারার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যা রক্তপাতের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

সুতরাং, পেয়ারার উপকারিতা অসংখ্য হলেও, এটি খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।