ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা।

বাংলাদেশ বিনোদন শিক্ষা স্বাস্থ

ডাবের ভেতরের স্বচ্ছপানিও হিসেবে অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে ডাবের পানির উপকারিতার কথা সবাই জানলেও এর অপকারিতার কথা হয়তো অনেকেই জানে না ।

 

ডাবেরি পানিও বিবেচনায় করেই হয় থাকে একটি অসাধারণ পানি হিসেবে। ডাবের ভেতরের স্বচ্ছপানি পানীয় হিসেবে খুবই সুস্বাদু। আমরা অনেকেই ডাবের পানির উপকারিতার কথা সবার জানলেও এর অপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না।

ডাবের পানির উপকারিতা হলো

১। দেহের যে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব হয় এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হলে ডাক্তার ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন৷ কারণ ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের ঘনঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হলে দেহে প্রচুর পরিমানে পানি এবং খনিজ পদার্থেরই ঘাটতি দেখা যায়৷ এই ঘাটতি ডাবের পানি অনেকাংশেই পূরণ করতে পারে৷

 

২।আবার মানুষের এই শরীরের সবচেয়েই বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারী উপাদানে ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের ভেতরের শক্তি এতটা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে যা জীবাণুরা কোনওভাবেতেই ক্ষতি করার সুযোগ পায় না।

 

৩। ডাব এর পানিতেই খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতিও উচ্চমাত্রায়। এসব খনিজ লবণ দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। দাঁতের মাড়িকে করে মজবুত। অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। মাড়ি কালচে হয়। এরই অবস্থায় থেকেই পরিত্রাণ দেবে খনিজ লবণ।

 

৪। এরই গরমেরও মধ্যেই ছোটর বড়র সবারই দেহ তেই অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে ত্বকে ফুটে ওঠে লালচে কালো ভাব। ডাবের পানি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে শরীরকে রাখে ঠাণ্ডা। তারুণ্যই ধইরা রাখতেই এরই অবদান অপরিহার্য ও বটে। ডাবের পানি যেকোনো কোমল পানীয় থেকে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, এটি সৌন্দর্যচর্চার প্রাকৃতিক মাধ্যম ও চর্বিবিহীন পানীয়। ডাবের পানি মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।

 

৫। মুখের মধ্যেই একের জলবসন্তরই দাগসহ বিভিন্ন ছোটছোট দাগের জন্য সকালবেলা ডাবের পানি দিলে দাগ মুছে যায় এবং মুখের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ে৷ গ্লুকোজ স্যালাইন হিসেবেও ডাবের পানি ব্যবহৃত হয়৷ ডাবের পানিতে উল্লেখযোগ্য যে কোন প্রকার পুষ্টি না থাকলেও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী৷

 

৬। ডাবএর পানিতেই থাকাই অ্যামাইনোই অ্যাসিডেড ও ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

 

৭। ডাবএর পানির মধ্যে আছে সাটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

 

ডাবের পানির অপকারিতাঃ

 

১। নিয়মিত ডাব খেলে কিডনিতে রোগ হয় না৷ আবার কিডনি রোগ হলে ডাবের পানি পান করা সম্পূর্ণ নিষেধ৷ কারণ কিডনি অকার্যকর হলে শরীরের অতিরিক্ত পটাশিয়াম দেহ থেকে বের হয় না৷যার জন্য ডাবএর পানিরই পটাশিয়ামই ও দেহের পটাশিয়াম একত্রে কিডনি ও হৃদপিণ্ড দুটোই অকার্যকর করে দেয়৷ এই অবস্থায় রোগীর মুত্যু অনিবার্য৷ তাই যাদের দেহে প্রচুর পটাশিয়াম আছে এবং বের হয় না তাদের ডাবের পানি পান করাটা উচিত না৷ ডাবের পানি রোগীকে পান করানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

 

২। যারাই আছেনযে ওজনও কমাতেও চান তাদের ডাবের পানি বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ, ডাবের পানি শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়ায়। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় বা ফলের রসের তুলনায় ডাবের পানিতেও চিনির পরিমানও কমিয়ে থাকে। তবুও আবার ডাবের পানি খেলে নিমেষে বেড়ে যায় ক্যালরি।

 

৩।এমনকিই ডাবের পানিতে প্রচুরও পরিমাণেও থাকা সোডিয়াম রক্তাচাপও আবার বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই বেশি তাদের ডাবের পানি প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। তবে সপ্তাহে দু’একদিন খেতেই পারেন।