পহেলা জুলাই থেকে নামতে পারে সেনাবাহিনী

আইন-আদালত জাতীয় দেশ জুড়ে বাংলাদেশ

দেশের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ রোধে এবং মানুষকে সচেতন করতে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে পারে বাংলাদেশ সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, এ অবস্থায় আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় মাঠে থাকবে পুলিশ ও বিজিবি। সেনাবাহিনীও মাঠে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।

 

সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, সরকার চাইলে লকডাউনে মাঠে নামবে সেনাবাহিনী। গত বছরও লকডাউনে মাঠে ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের পর বিষয়টি পরিস্কার হবে।

 

সূত্রমতে, আগের চেয়ে এবারের লকডাউন কঠোর হবে। মাঠ পর্যায়ে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। শুধু জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না। গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।