১৩৩ বছর পর টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে দেখা মিলল ‘প্রজাপতি বাদুড়’

আন্তর্জাতিক ঢাকা দেশ জুড়ে বাংলাদেশ

একশ ত্রিশ বছরের বেশি সময় পর দেখা মিলল বিপন্ন প্রজাতির ‘প্রজাপতি বাদুডের’।দক্ষিণ ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার এই বাদুড়টি দেখা গেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রানিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

 

তিনি জানান, ১৩৩ বছর পর দেখা মিলেছে ‘পেইন্টেড ব্যাট’ বা ‘প্রজাপতি বাদুড়’ নামে প্রানিটির। গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের একটি কলাগাছের পাতায় এটিকে দেখা যায়।

 

অধ্যাপক মনিরুল বলেন, ‘তার গবেষণা সহকারী লজেশ মৃরের সূত্রে খোঁজ পান এই বিরল প্রজাতির বাদুড়ের।এরপর মধুপুরে এ বাদুড়ের সন্ধান পাই এবং ছবি তুলতে সক্ষম হই।’

 

তিনি আরো জানান,২০১৫ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এবং বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগ প্রস্তুতকৃত বিপন্ন প্রানিদের ‘রেড লিস্ট’ প্রকাশিত হয়। সেখানে এ বাদুড় সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

 

 

এদিকে ১৮৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের প্রানিবিজ্ঞানী ডব্লিউ টি বেনফোর্ড এর লেখা ‘ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ নামে প্রানিবিষয়ক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। যেখানে ব-দ্বীপের ঢাকা অঞ্চলে ‘প্রজাপতি বাদুড’ দেখা যায় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এরপর শেষ কবে এ অঞ্চলে এই প্রজাতি বাদুড় দেখা গিয়েছিল সে সর্ম্পকে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। সে হিসাবে ধরে নেওয়া যায়, ১৩৩ বছরের বেশি সময় পর দেখা মিলল প্রজাপতি বাদুড়ের।

 

 

 

অধ্যাপক হাসান খান বলেন, ‘বড় সুসংবাদ যে, এই বাদুড় আমাদের দেশে এখনো টিকে আছে। যেহেতু মধুপুর গড় এলাকায় এর সন্ধান পেয়েছি, সেহেতু দেশের অন্য বনেও থাকতে পারে। ফলে এটি দেখলে যাতে কেউ একে ধরা বা মারার চেষ্টা না করে। কারণ বাদুড় এমনিতেই একটি উপকারী প্রানি। এই প্রজাতির বাদুড় ক্ষতিকর অনেক পোকা খেয়ে মানুষের উপকার করে।’