চিত্রনায়িকা পরীমনি রিমান্ডে

চিত্রনায়িকা পরীমনি রিমান্ডে

আইন-আদালত ঢাকা দেশ জুড়ে বিনোদন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় পরীমনিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ আসামি পরীমনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

 

এর আগে, বিকেলে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে মামলা করে র‌্যাব। পরীমণি ও দীপুর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ে করা হয়েছে। রাজের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি ও মাদক আইনে, সবুজের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

 

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানিয়েছে, গত বুধবার র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় অভিযানে মিনি বারের সন্ধান পেয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা, যেখানে নিয়মিত ‘ঘরোয়া আয়োজন’ হত।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শামসুন নাহার স্মৃতি (স্মৃতিমনি বা পরীমণি) ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করে থাকেন। মাত্রাতিরিক্ত সেবনের চাহিদা মেটানোর লক্ষে বাসায় একটি মিনিবার স্থাপন করেছেন। মিনি বার থাকায় তার ফ্ল্যাটে ঘরোয়া পার্টি আয়োজন পরিপূর্ণতা পেত বলে তিনি জানান।

 

খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সরবরাহ করত এবং পার্টিতে অংশগ্রহণ করত বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
রাজধানীর বনানী থেকে মাদকসহ আটক চিত্রনায়িকা পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে র‌্যাব।

পরীমণির বাসা থেকে অবৈধ বিদেশি মদ, এলএসডি, আইস এবং এসব সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পরীমণিকে এখন নানা অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পরীমণিকে আটকের পর বুধবার রাতে বনানীর ৭ নম্বর রোডে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নজরুল ইসলাম রাজের নামটি সামনে আসে। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পরীমণির। একাধিক সময় ফেসবুক লাইভে কথা বলার সময় রাজ অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন।

 

নজরুল ইসলাম রাজ সম্পর্কে খন্দকার আল মঈন জানান, রাজ ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় তিনি বলেন,এর আগে র্যা বের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও মো. মাসুদুল

 

ইসলাম ওরফে জিসানের সহযোগিতায় ১০-১২ জনের একটি ‘সিন্ডিকেট’ গড়ে তুলছিলেন রাজ। এই সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিশেষ করে গুলশান,বনানী, বারিধারায় বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানা ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের’ ব্যবস্থা করতেন।