নিশো-মেহজাবিন ও সুমনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নিশো-মেহজাবিন ও সুমনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বিনোদন

নাটক এবং টেলিভিশনের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা প্রধান এবং শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে আদালতে দুটি মামলার আবেদন হয়েছে। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকী বুধবার শুনানি শেষে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

 

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অধিকারকর্মী বশির আল হোসাইনের পক্ষে আদালতে মামলার আবেদন করেন আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত। একটি আবেদন করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই সম্প্রচার হয়। আবেদন অভিযুক্ত করা হয়েছে-চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে।

 

অন্য মামলার আবেদন করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে- ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইসলাম এবং আলোচক হিসেবে থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে। মামলার সব সাক্ষী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি বলে জানান আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত।

 

মামলার আবেদনে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকের সংলাপে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও তাদের বাবা মা ও পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’ দ্বিতীয় মামলার আবেদনে বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ‘সুস্পষ্ট লংঘন’।