nowka bais

চিত্রায় নৌকাবাইচ দেখতে লাখো মানুষের ঢল

জাতীয় বাংলাদেশ

চিত্রা নদীর দুপাড়ে কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়েছিলেন লাখো মানুষ। নির্ধারিত সময়ে নৌকাবাইচ শুরু না হলেও তাদের চোখে মুখে ছিলো উৎসবের আমেজ। এক পর্যায়ে নদীতে ছোট-বড় ১৪টি নৌকা দেখে উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। চিত্রা নদীর শেখ রাসেল সেতু থেকে শুরু হয়ে এস এম সুলতান সেতুতে গিয়ে শেষ হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস এসএম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

 

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শেষে বাধাঘাট চত্বরে চিত্র শিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো.মাহাবুব আলী।

 

 

শনিবার (২ অক্টোবর) দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং জেলা প্রশাসন। আয়োজনের মূল উৎস বিশ্ব পর্যটন দিবস এস এম সুলতান নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

 

 

সুলতানের প্রতি ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসে মুগ্ধ হয়ে যশোর জেলা থেকে আর্টক্যাম্পে অংশ নিতে আসা চিত্রশিল্পী সোহেল প্রাণন বলেন, প্রচণ্ড খরতাপেও সুলতানের প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিল না ভক্তদের। প্রাণের গুরুজির অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রান্তিক এলাকায় এমন আনন্দ-উল্লাস দেখিনি কোথাও।

 

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, সরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহম্মেদ, খুলনা বিভাগীয়

 

 

কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন (এনডিসি), নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দীন খান নিলু, নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহা সচিব ও নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো.আশিকুর রহমান মিকু।

 

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় কালাই গ্রুপের(বড় নৌকা) প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মাগুরা সদরের খানবাড়িয়া গ্রামের জহুর মোল্যার আল্লার দান মাগুরা টাইগারস। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন পাবনার মুক্তনগর এলাকার হাফিজুর রহমানের শাপলা এবং মাগুরার মোহাম্মদপুর ধুসরাইল গ্রামের আতর আলীর মায়ের দোয়া নৌকা।

টালাই গ্রুপের (ছোট নৌকা) খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ঘোষগাতি গ্রামের আলকাচ শেখের সোনার বাংলা প্রথম, খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারহাজি গ্রামের সাইফুল সিকদারের রকেট দ্বিতীয় এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া জোয়ারিয়া গ্রামের নিকুঞ্জ কুমার মন্ডলের মা শিতলা ।