রাত ৩টার দিকে ম’দ্য’প অবস্থায় থানায় আসেন পরীমনি: ওসি

আইন-আদালত নারী ও শিশু বাংলাদেশ বিনোদন

অ’ভিযোগ জানাতে চার দিন আগে চিত্রনায়িকা পরীমনি বনানী থা’নায় গিয়েছিলেন। তাকে অ’সুস্থ দেখে পু’লিশ সদস্যরা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন বনানী থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া।

রোববার (১৩ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিনেত্রী পরীমনি মোবাইল ফোনে থা’নায় ও হাসপাতালে যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত চার দিন আগে ভোর বেলার দিকে আমি বনানী থা’নায় গিয়েছিলাম।

সেখানে এক দায়িত্বরত পু’লিশের স’ঙ্গে কথা বলি। আমার কথাবার্তা শুনে ওই পু’লিশ কর্মক’র্তা আমাকে বলেন—আপনি শান্ত হোন, বাসায় যান, সকাল দশটায় ওসি সাহেব এলে বিষয়টি জানানো হবে।

এ বিষয়ে বনানী থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, ৩/৪ দিন আগে চিত্রনায়িকা পরীমনি ভোর বেলার দিকে বনানী থা’নায় আসেন। থা’নার ডিউটি অফিসারের স’ঙ্গে কথা বলেন। তখন তাকে অ’সুস্থ অবস্থায় দেখা যায়।

তিনি আরও জানান, ‘বুধবার (৯ জুন) মধ্যরাত সা;ড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে পরীমনি বনা;নী থানায় এসেছিলেন। ওই সময় তিনি বে’সা’মাল ছিলেন। ম’দ্য’প অবস্থা’য় ছিলে’ন। ম’দ্য’প অবস্থায় কারও অভিযো’গ নেওয়া যায় না।’

পরে বনানী থা’না পু’লিশ তাকে নি’রাপত্তা দিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে বলা হয়— আপনি সুস্থ হলে থা’নায় আসবেন। কিন্তু তিনি আর যোগাযোগ করেননি, থা’নায়ও আসেননি।

ওসি আরও বলেন, সেদিন পু’লিশকে তিনি (পরীমনি) জানিয়েছিলেন তাকে জো;র করে কিছু খাওয়ানো হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অ’ভিযোগ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি তার জীবন নিয়ে শ’ঙ্কায় রয়েছেন বলেও জানান। ফেসবুক পেজে অ’ভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর

কাছে একটি খোলা চিঠি লেখেন পরীমনি। এরপর সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি তৎক্ষণাৎ তার নিজ বাসায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি বলেন, ‘গত চারদিন ধরে একজন সাধারণ মেয়ে হিসেবে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কারো হেল্প পাইনি। সবাইকে বলেছি, আমি সু’ইসাইড করার মতো মেয়ে না। যদি আমি মরে যাই, মনে করবেন আমাকে মে’রে ফেলা হয়েছে।

আর আপনাদের কাছে আমার অ’নুরোধ আপনারা আমাকে হ’ত্যার বি’চার করবেন।’ এর আগে ঘ’টনার বর্ণনা দিয়ে আলোচিত এই অভিনেত্রী জানান, নাসির ইউ. মাহমুদ নামে একজন তাকে নে’শাজাতীয় কিছু খাইয়ে এ ঘ’টনা ঘ’টাতে চে’ষ্টা করেছিলেন।

পরীমনি বলেন, ‘আমার কস্টিউম ডিজাইন করেন জিমি, আমাদের কাজের বাইরেও পা’রিবারিক স’ম্পর্ক রয়েছে। তার মাধ্যমে অমির স’ঙ্গে আমার পরিচয়। উনি বাসায় আসেন চারদিন আগে (ঘ’টনাটির দিন রাতে)। এর আগে সিনেমার ব্যাপারে মিটিংয়ের জন্য ডেট চাচ্ছিল কিন্তু আমি সময় দিতে পারছিলাম না।

আমার নানু কয়েকদিন আগে অ’সুস্থ ছিলেন সেটা আপনারা জানেন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বুধবার রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাছির ইউ. মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। সেসময় নাছির ইউ. মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন।

সেখানে নাছির ইউ. মাহমুদ আমাকে ম’দ খেতে অফার করে। আমি রাজি না হলে আমাকে জো’র করে ম’দ খাওয়ানোর চে’ষ্টা করে। একপর্যায়ে আমাকে চ’ড় থা’প্পড় মা’রে।

এরপর সাংবাদিকদের সামনে নিজের জীবন নিয়ে শ’ঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান পরীমনি। একইসঙ্গে তিনি কা’ন্নায়