সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে সূচক

অর্থনীতি রকমারী

চারদিন পর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হতেই মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক সাড়ে তিন বছর বা ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এর পাশাপাশি লেনদেনেও হয়েছে বড় অঙ্কে।

 

 

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজন হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

 

 

এই বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছে ব্যাংক। আর ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহে চারদিন শেয়ারবাজারের লেনদেনও চালু রাখা হয়েছে। তবে লেনদেনের সময় দেড় ঘণ্টা কমিয়ে ৩ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

ব্যাংক হলিডে হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। আর বিধিনিষেধের কারণে শুক্র ও শনির পাশাপাশি রোববারও ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এই তিনদিনও শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। সে হিসাবে টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ ছিল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস।

 

 

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। প্রি-ওপেনিং চালু থাকায় লেনদেন শুরুর আগেই অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্ট বাড়ার মাধ্যমে।

 

 

সূচকের এই বড় উত্থানের ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। যা ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি সূচকটি ছিল ৬ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে।

 

 

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

 

 

সূচকের এই বড় উত্থানের দিনে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৪৩টি। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির। আর ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

 

আর মাত্র তিন ঘণ্টাতেই ডিএসইতে লেনদেন পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪০৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৪৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

 

 

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমএল ডাইংয়ের ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস।

 

 

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ম্যাকসন স্পিনিং, ন্যাশনাল ফিড, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স, মালেক স্পিনিং, জেনারেশন নেক্সট এবং আইএফআইসি ব্যাংক।

 

 

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।