আল্লাহ যাদের সঙ্গে থাকেন, তারা কখনও হতাশ হন না।

আল্লাহ যাদের সঙ্গে থাকেন, তারা কখনও হতাশ হন না।

ধর্ম

পরাজয়, পাওয়া-না পাওয়া, সাফলতা-ব্যর্থতা মানুষের জীবনে আসতেই পারে। তাই বলে কি হতাশ হয়ে আত্মহ’ত্যা করতে হবে! আত্মহ’ত্যা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আর আত্মহ’ত্যাকে কোনো ধর্মই সমর্থন করে না।

 

ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া যাবে না। ব্যর্থতার পরই আসবে সফলতা। যেমনিভাবে রাত পোহালেই আসে দিন। আর ব্যর্থতায় মর্মাহত লোকদের সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও।
—————–(সূরা আলে ইমরান : ১৩৯)

 

হতাশ হতে বারণ করেছে ইসলাম। যারা জীবনের প্রথম পর্যায়ে খারাপ কাজ করেছে পরবর্তী সময়ে নিজের কৃতকর্মের কথা স্মরণ করে মর্মপীড়ায় ভুগছেন, তাদেরও আল্লাহতায়ালা নিরাশ করেননি। তিনি তাদের সুপথে ফিরে আসার জন্য ক্ষমার সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সব গোনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
——————– (সূরা যুমার : আয়াত ৫৩)।

 

অনেকে হতাশ হয়ে হরেক রকম নেশায় জড়ায়। এতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায় কিন্তু হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। নেশা করা ইসলাম ধর্মে হারাম। তাই যারা পাওয়া, না-পাওয়া জীবনে হতাশ হয়ে পড়েছে তাদের উচিত নেশা না করে ধৈর্য ধারণ করা এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা। কেননা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সূরা বাকারা : ১৫৩)। আর আল্লাহতায়ালা যাদের সঙ্গে আছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট ঘায়েল করতে পারে না।

 

রাসূল (সা.) হতাশাগ্রস্ত মানুষকে মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য কয়েকটি আমলের নির্দেশ দিয়েছেন। যা তাদের মনকে সজীব ও সতেজ করবে।

 

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ওইগুলো পড়ে আমল করবে, সে কখনও নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আমলগুলো তেত্রিশবার তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া, তেত্রিশবার তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পাঠ করা এবং চৌত্রিশবার তাকবির (আল্লাহু আকবার) পড়া। (সহিহ মুসলিম)