বছর ব্যবধানে গড়ে ই-কমার্স খাতের আকার বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

বছর ব্যবধানে গড়ে ই-কমার্স খাতের আকার বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এক বছরে দেশের ই-কমার্স খাতের আকার ১৩ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকায়। ই-ক্যাবের হিসাব, বছর ব্যবধানে গড়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা। তবে এরপরও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি সংগঠনটির। এজন্য মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আস্থা সংকটকে দায়ী করছেন তারাকরোনাকালে এক দিকে স্থবির হয় জনজীবন, অন্যদিকে চাঙ্গা হতে থাকে অনলাইন মার্কেট প্লেস।

 

ঘরবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ক্রমেই গ্রাহক-আস্থা অর্জন করে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো। সে সময় কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণারও অভিযোগ উঠে। সংকট আর সম্ভাবনার সমীকরণ মিলিয়ে চলমান এখাতটির অবস্থান এখন বেশ ভালো।

 

২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পিকাবু। সে সময় অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা এখনকার মতো এতো সহজ ছিল না। ছিল মূলধন সংকটও। ২০১৯ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বিদেশি বিনিয়োগে আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এরপর শঙ্কা মোকাবিলা করে সম্ভাবনার পথে চলা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা গত এক বছরে বেড়েছে ৬৫ শতাংশ।পিকাবুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মরিন তালুকদার বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এখন আর গ্রাহককে পণ্যের মান নিয়ে ভাবতে হয় না।

 

 

এমন পরিবর্তনের ই-কমার্স খাতে ফিরতে শুরু করা গ্রাহকদের আস্থা বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করে দেশের অনলাইন জায়ান্ট দারাজ। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখনো বাধা হিসেবে দেখছেন তারা।দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, সরকার গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই নীতিমালা তৈরি করে। এ ব্যাপারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর শতাভাগ সমর্থন রয়েছে। তবে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর কথাও ভাবা প্রয়োজন।প্রাপ্তির পাল্লা ভারি হলেও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে না এখাতের অভিভাবক সংগঠন ই-ক্যাব।

 

 

 

সংগঠনটির তথ্য, গড় প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশের আশায় বছর শুরু করে, ১২ মাসে মিলেছে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির হিসাব।ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ই-কমার্স খাতের অগ্রগতি যথেষ্ট ভালো। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে আছে এ খাত। আরও উন্নতি করতে হবে।ডাবলিনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস এর পূর্বাভাস বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজার দাঁড়াবে দেড় লাখ কোটি টাকায়।